কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের অবসরকালীন সুবিধা দ্রুত ও সময়মতো নিশ্চিত করতে নরেন্দ্র মোদী সরকার নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। পেনশনভোগীদের সহায়তার জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে এক জন অফিসার বা ‘পেনশন বন্ধু’ নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। নতুন এই নির্দেশিকাটি জারি করেছে কেন্দ্রীয় পেনশন ও পেনশনভোগী কল্যাণ বিভাগ।
আন্তঃমন্ত্রক সমন্বয়ের মাধ্যমে এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে বলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পেনশন এবং পেনশনভোগী কল্যাণ বিভাগের দাবি, ভিজিল্যান্স ক্লিয়ারেন্সের অভাবে কেউ পেনশনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হোক, তা কাম্য নয়। প্রতি মন্ত্রক বা বিভাগের উচিত তাঁদের কর্মচারীদের মধ্যে যাঁদের অবসর আসন্ন, তাঁদের ভিজিল্যান্স ক্লিয়ারেন্স যেন অবসরগ্রহণের তিন মাস আগেই হয়ে যায়। অবসরগ্রহণের একদিন পরেই যাতে কর্মচারীরা, তাঁদের সব বকেয়া পেয়ে যান, তা নিশ্চিত করতে হবে। অবসরগ্রহণের পরের মাসের প্রথম দিন থেকে যাতে পেনশনপ্রাপকরা পেনশন পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।
নতুন নির্দেশিকার মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা যেকোনো বকেয়া বা সুবিধা পেতে দেরিতে সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। কর্মচারীর অবসর গ্রহণ বা অবসর নেওয়ার পর বকেয়া ও সুবিধা নিশ্চিত করার দায়িত্ব একজন অধিকারিদের হাতে থাকবে। কোন আধিকারিক দায়িত্ব পাবেন, তা সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নির্ধারণ করবেন।
‘পেনশন বন্ধু’ প্রকল্প কেবল বকেয়া নিশ্চিত করাই নয়, পেনশনভোগীর যাবতীয় নথি ও প্রয়োজনীয় সমাধান নিশ্চিত করবে। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যদি কোনও পেনশনভোগী মৃত্যুবরণ করেন, তবে তাঁর পরিবার যেন সময়মতো পেনশন পান, তা দেখভাল করার দায়িত্বও পেনশন বন্ধুর উপর থাকবে।
এজন্য অবসরগ্রহণের তিন মাস আগে ভিজিল্যান্স ক্লিয়ারেন্স সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কর্মচারীরা অবসরগ্রহণের পরপরই বকেয়া পাবেন এবং পরবর্তী মাসের প্রথম দিন থেকেই পেনশন গ্রহণ শুরু করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় পেনশন ও পেনশনভোগী কল্যাণ বিভাগের মতে, এই পদক্ষেপ কর্মচারীদের সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং কোনও ধরনের বিলম্ব বা অসুবিধা এড়াতে সহায়ক হবে।