কৃষক আন্দোলন: ক্ষোভে ফুঁসে উঠলো প্রাক্তন শরিক দল, বিজেপি’ই আসলে ‘টুকরে-টুকরে’ গ্যাং

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

রুজির জন্য রাজধানীর সীমানায় বহু দিন ধরে প্রতিবাদে অনড় চাষীদের মধ্যে কখনও খালিস্তানি উগ্রপন্থী, কখনও আবার মাওবাদীদের উপস্থিতি টের পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার জবাবে ফের বার্তা দিয়েছেন আন্দোলনের নেতারা। কনকনে শীত সত্ত্বেও মাটি কামড়ে পড়ে থাকা কৃষকদের সম্পর্কে বিজেপি নেতাদের এ হেন মন্তব্যে হাতিয়ার করে পাল্টা দিতে ছাড়েনি বিরােধী রাজনৈতিক শিবির। আর এবার কৃষকদের নিয়ে নানা কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কিছুদিন আগেও গেরুয়া শিবিরের শরিক দল থাকা শিরােমনি আকালি।

মঙ্গলবার আকালি দলের মুখপাত্র সুখবীর সিং বাদল বিজেপি’কেই টুকরে টুকরে গ্যাং বলে উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময় বিরােধীদের উদ্দেশ্যে একাধিরবার টুকরে টুকরে গ্যাং কথাটি ব্যবহার করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। কিন্তু গতকাল সুখবীর সিং বাদল বলেন, কৃষক আন্দোলনকে ব্যর্থ করতে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ঝামেলা বাধাতে চাইছে বিজেপি। একই সঙ্গে পাঞ্জাবের হিন্দুদেরও শিখদের বিরুদ্ধে করে দেওয়ার প্রয়াস চলছে। আন্দোলন থামাতে দেশবাসীর সামনে বিষয়টিতে সাম্প্রদায়িক রূপ দিতে চাইছে বিজেপি।

যদিও শুধু সুখবীর সিং বাদলই নন, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম সম্প্রতি টুইটে লেখেন-বিক্ষোভকারীদের প্রথমে খালিস্তানি, তারপর পাকিস্তান ও চিনের এজেন্ট এবং অতি সম্প্রতি টুকরে টুকরে গ্যাং বলেছেন মন্ত্রীরা। সত্যি যদি প্রতিবাদীদের মধ্যে এরাই থাকে, তাহলে আন্দোলনকারীরা কেউ কৃষক নন! তাই যদি হবে, তাহলে সরকার কাদের সঙ্গে কথা বলছে?


একই সুর এনসিপি ও শিবসেনার। এনসিপি মুখপাত্র মহেশ তাপসের আবার এ বিষয়ে প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী কি এই দাবিগুলির সত্যতা খােলসা করবেন? তবে এই সবে যে মােদি সরকারের মন্ত্রীরা কান দেন না, রবিবার ফের তা বুঝিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত রবিশঙ্কর প্রসাদ। বিতর্কিত তিন আইনের সমর্থনে বিহারজুড়ে কৃষক সম্মেলনের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মােদি সরকার কৃষকদের সম্মান করলেও টুকরে টুকরে গ্যাং যেভাবে কৃষক আন্দোলনের ফায়দা তােলার চেষ্টা করছে, তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যােগী আদিত্যনাথের অভিযােগ, এই বিক্ষোভকে হাতিয়ার করে দেশের স্থিতাবস্থা নষ্টের তালে রয়েছেন বিরােধীরা। কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তােমরের আবার মত, কিছু মানুষ শুধু বিরােধিতার জন্য বিরােধিতা করেন। তামরের আরও দাবি, স্বল্প মেয়াদে কারও কারও অসুবিধা হলেও দীর্ঘ মেয়াদে নয়া আইনের সুফল পাবেন কৃষকরাই। এখনও পর্যন্ত অবশ্য সেই সুফলের সম্ভান্নায় আস্থা রাখতে পারেননি কৃষকরা।