করোনা যোদ্ধা চিকিৎসক ও নার্সদের ঠিক সময়ে বেতন দিন, কেন্দ্রকে ভৎর্সনা সুপ্রিম কোর্টের

প্রতীকী ছবি (Photo: IANS)

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে চিকিৎসক-নার্স স্বাস্থ্যকর্মীরা রীতিমত জীবন বাজি রেখে মানুষের সেবা করে চলেছেন। তাদেরই বেতন নিয়ে টালবাহানা হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারকে ভৎর্সনা করল সুপ্রিম কোর্টে। করোনা যুদ্ধের সবচেয়ে বড় যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরাই যদি সময়ে বেতন না পান, তাহলে এর চেয়ে দুঃখের কিছু হতে পারে না।

কোনও অবস্থাতেই যাতে তাদের বেতন আটকানো না হয় তা নিয়ে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও বিভিন্ন রাজ্যে করোনা চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সঠিক সময়ে বেতন পাচ্ছেন না। এই অভিযোগ আগেও এসেছিল সুপ্রিম কোর্টে। এবার সেই ঘটনায় কড়া অবস্থান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তিরস্কার করল দেশের শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এই রায়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও গড়িমসি করতে পারে না। মাসের পর মাস বিভিন্ন রাজ্যের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা করেছিল ১৭ জুন সুপ্রিম কোর্ট বকেয়া বেতন মেটানোর জন্য কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য নির্দেশ দেয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বহু রাজ্যে এখনও বেতন পাচ্ছেন না চিকিৎসকরা। তাই এবার কড়া অবস্থানের পথে হাঁটল সুপ্রিম কোর্ট।


এদিন এবিষয়ে কেন্দ্রের আইনজীবী তুষার মেহেতা সুপ্রিম কোর্টে জানান, অধিকাংশ রাজ্য বেতন মিটিয়ে দিলেও মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, ত্রিপুরা এবং কর্নাটক সরকার এখনও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন দিচ্ছে না। এই কথা শোনার পর রীতিমত বিরক্ত হয়ে ওঠেন। বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি সুভাষ রেডিড এবং বিচারপতি এম আর শাহেন্দ্র ডিভিশন বেঞ্চ।

তারা জানান, কোনও রাজ্য যদি কেন্দ্রের নির্দেশ না মানে তাহলে সেক্ষেত্রে কি কেন্দ্র হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। বিপর্যয় মোকাবিলা আইন সরকারকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিয়েছে। কেন্দ্র চাইলে আইন মোতাকে ব্যবস্থা নিতে পারবে। ইউনাইটেড রেসিডেন্টস ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের তরফেও সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল।

করোনার চিকিৎসা করতে গিয়ে যেসব চিকিৎসকরা কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন, তাঁদের বেতন কাটা হচ্ছে। সেই কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ডকে দেখানো হচ্ছে লিভ হিসেবে। যা শুনে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় কোনও চিকিৎসকের ‘লিভ’ মার্ক করা যাবে না। কাটা যাবে না বেতনও। কেন্দ্রের আইনজীবী সেই নির্দেশ মেনে নিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ আগস্ট।