ইঞ্জিনিয়ার ছেলের হাতে নৃশংস খুন মা-বাবা

প্রতীকী চিত্র।

এক পারিবারিক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করল পুলিশ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এক যুবকের বিরুদ্ধে নিজের মা–বাবাকে নৃশংসভাবে খুন করে দেহ করাত দিয়ে টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে। মৃত দম্পতি হলেন ৬২ বছরের শ্যাম বাহাদুর ও ৬০ বছরের ববিতা। বেশ কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর তাঁদের সন্ধান করতে গিয়েই ভয়াবহ সত্য সামনে আসে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম আমবেশ। প্রায় পাঁচ বছর আগে তিনি এক মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করেন। এই আলাদা ধর্মে বিবাহ মেনে নিতে পারেননি শ্যাম ও ববিতা। পুত্রবধূকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় আমবেশ ভাড়া বাড়িতে আলাদা সংসার শুরু করেন। সেই সংসারে তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। গত পাঁচ বছরে একাধিক বার বাড়ি ফেরার চেষ্টা করলেও শর্ত দেওয়া হয়— বিবাহবিচ্ছেদ না করলে বাড়িতে ফেরা যাবে না।

শেষ পর্যন্ত আমবেশ ও তাঁর স্ত্রী আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অভিযোগ, বিচ্ছেদের জন্য স্ত্রীকে এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হত। সেই টাকা জোগাড় করতে বাবা শ্যাম বাহাদুরের কাছে সাহায্য চান আমবেশ। বাবা টাকা দিতে অস্বীকার করতেই তীব্র অশান্তি শুরু হয়।

অভিযোগ অনুযায়ী, এক সময় মেজাজ হারিয়ে ভারী পাথরের নোড়া দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করেন আমবেশ। রক্তাক্ত অবস্থায় ববিতাকে দেখে প্রতিবেশীদের ডাকতে গেলে বাবার উপরও আক্রমণ চালান তিনি। নোড়া দিয়ে একের পর এক আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শ্যাম ও ববিতার। পরে খুনের প্রমাণ লোপাট করতে করাত দিয়ে দেহ টুকরো করে নদীতে ফেলে দেন অভিযুক্ত।


খুনের পর বোন বন্দনাকে ফোন করে জানান, ঝগড়ার পর মা–বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। নিজেও ৬ দিন উধাও ছিলেন অভিযুক্ত। পরে বাড়ি ফিরতেই সন্দেহ দানা বাঁধে। পুলিশের জেরায় ভেঙে পড়েন অপরাধ স্বীকার করেন আমবেশ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।