গুজরাত সীমান্তে স্যর ক্রিকে যুদ্ধমহড়া শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। কয়েক বছর ধরেই সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার সমন্বয় নিবিড় করতে তৎপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সেই সমন্বয় এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার সমন্বয় বাড়াতে ৩০ অক্টোবরের গুজরাত-রাজস্থান সীমান্ত ও আরব সাগরে শুরু হচ্ছে ‘অপারেশন ত্রিশূল’।
প্রসঙ্গত, সিন্ধু নদের ব-দ্বীপে তৈরি হয়েছে প্রায় ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ খাঁড়িবেষ্টিত অঞ্চল স্যর ক্রিক। জম্মু ও কাশ্মীরের মতোই এই অঞ্চলটির সীমান্ত চিহ্নিতকরণ নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘ বিতর্ক রয়েছে। কচ্ছের রণের পশ্চিমে অবস্থিত নালা এবং জলাভূমি এলাকা পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ থেকে আলাদা করে রেখেছে গুজরাতকে।
এই অঞ্চলে নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফের বিশেষ বাহিনী ‘ক্রিক ক্রোকোডাইল’। তার আগে ভারতীয় স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনার এই সংযুক্ত যুদ্ধাভ্যাস চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।আর এই যুদ্ধাভ্যাস নিয়ে আতঙ্কিত পাকিস্তান। মধ্য ও দক্ষিণ আকাশসীমা জুড়ে একাধিক বিমান রুটে বিমান চলাচলের উপর বিধিনিষেধ জারি করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পাক সরকার।
আগামী ২৮-২৯ অক্টোবরের জন্য আকাশসীমা বন্ধের উদ্দেশে জারি করা ওই ‘নোটাম’ (বিমানকর্মীদের উদ্দেশে নোটিস)-এর কোনও কারণ জানানো হয়নি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল, ‘থিয়েটারাইজেশন’ পদ্ধতির মাধ্যমে তিন বাহিনীর ভিন্ন ভিন্ন কমান্ডের পরিবর্তে অভিন্ন ‘থিয়েটার কমান্ড’ গঠন করা। আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের মতো দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে ‘থিয়েটারাইজেশন’ ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার। বাড়বে শত্রুর মোকাবিলার ক্ষমতাও। ১৯৯৯ সালে স্যর ক্রিক এলাকাতেই অনুপ্রবেশকারী পাক নজরদার বিমানকে ধ্বংস করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই ঘটনায় ১৬ জন পাক সেনা নিহত হয়েছিলেন। সম্প্রতি স্যর ক্রিক অঞ্চলে নতুন করে পাক সেনার সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।