২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের বিমান চলাচলের উপর আকাশসীমার নিষেধাজ্ঞা বাড়ালো পাকিস্তান

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

পাকিস্তান ভারতের জন্য তার আকাশসীমার ওপর নিষেধাজ্ঞা ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। পাকিস্তান অসামরিক বিমান চলাচল বিভাগের জারি হওয়া নতুন নোটিস বা এনওটিএএম অনুযায়ী, এই নিষেধাজ্ঞা ভারত থেকে আসা-যাওয়া করা নাগরিক এবং সামরিক বিমানগুলোর উপর প্রযোজ্য। এতে দুই দেশের মধ্যে আকাশসীমা বিরোধ আরও জটিল আকার ধারন করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলির ‘অপারেশনাল সমস্যা’ অব্যাহত রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইটগুলিকে দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল রুট ব্যবহার করতে হচ্ছে, যার ফলে অতিরিক্ত অপারেশনাল ক্ষতি হচ্ছে।

পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের মূল কারণ, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের প্রত্যাঘাত। ওই হামলায় পাকিস্তানি জঙ্গিরা ২৬ জন ভারতীয় নাগরিককে হত্যা করে। এর পর ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে প্রতিশোধ নেয়। সেই সময় থেকেই পাকিস্তান মাঝে-মধ্যে তাদের আকাশসীমায় বিমান চলাচলে নিষেধ করে আসছে। ভারতও পাল্টা পাকিস্তানি বিমানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ রেখেছে।


পহেলগাম হামলার পর থেকে দুই দেশের আকাশসীমা বন্ধের কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। ভারতের প্রত্যাঘাতের অংশ হিসেবে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা, পাকিস্তানি ভিসা বাতিল, ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ এবং উভয় দূতাবাসে কূটনৈতিক কর্মচারীর সংখ্যা কমানো সহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে।

গত মে মাসে প্রথম হামলার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, যখন মিসাইল হামলা পাকিস্তানের পাঞ্জাব এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের শহরগুলিকে লক্ষ্য করে। এতে নাগরিক ও পরিকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে, যার মধ্যে একটি মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞার ফলে বাণিজ্যিক বিমান চলাচল হ্রাস পাবে। বিমান পরিচালনার খরচ বৃদ্ধি পাবে এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন অব্যাহত থাকবে।