জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দফায় দফায় গুলি চালাচ্ছে পাকিস্তান। শুক্রবারও তা অব্যাহত ছিল। যদিও নিমেষেই তার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। তবে শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সেখানে ভারতের দিক থেকে হতাহতের কোনও খবর নেই। পহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তান-এই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দিল্লি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। পাকিস্তানের কূটনৈতিকদের দ্রুত ভারত ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। এই ঘটনার পর থেকেই পাকিস্তানের তরফে সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলিকে আগে থেকেই প্রস্তুত রাখার তোড়জোড় জোরদার হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে কিছু না জানানো হলেও একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন , শুক্রবার ভোরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারতীয় সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাকিস্তানের সেনা বাহিনী। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তান গুলি চালিয়েছে, পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। সীমান্তের এপারে কেউ আহত হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি হানায় জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। এই ঘটনায় পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার হাত রয়েছে বলে গোয়েন্দাদের দাবি।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতভর নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে পাকিস্তানি পোস্টগুলি থেকে ভারতকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলির মাধ্যমেই তার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। জানা গেছে ভারতীয় সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাক সেনা। পহেলগামে হামলার পর দুই দেশেই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। তার পরেই পাকিস্তানের গুলি বর্ষণ ভারতকে উসকানি বলেই বলে করছেন কূটনীতিকরা।
যদিও জম্মু–কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণরেখায় এই ধরণের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। তাই ভারত সরকার এবার সেই সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করুক এমনই উসকানি দিতে চাইছে পাকিস্তান বলে অনুমান।
অন্যদিকে, জম্মু–কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলার কুলনার বাজিপোরা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা হঠাৎই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে শুরু করে। পাল্টা আক্রমণ করে সেনাও। সেনা সূত্রে খবর, বান্দিপোরার ওই এলাকায় কয়েক জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে–গোপন সূত্রে খবর এসেছিল। তার পরেই ওই এলাকাকে ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। ওখানে কত জন জঙ্গি লুকিয়ে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।