সপ্তাহে চারদিন অফিস, নতুন বেতন কাঠামো, শীঘ্রই বদলে যেতে পারে গোটা দেশের কর্মসংস্কৃতি

খুব শীঘ্রই নতুন শ্রমবিধি চালু করতে চায় সরকার। তাতে কর্মীদের বেতন, সামাজিক সুরক্ষা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, কর্মস্থলে নিরাপত্তা, কাজের পরিবেশ ইত্যাদি নিয়ে নতুন কয়েকটি নিয়ম চালু করার কথা বলা হবে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সাল থেকেই চালু হতে পারে নতুন শ্রম বিধি।

সরকারের পদস্থ কর্তারা জানিয়েছেন, নতুন বিধি অনুযায়ী সপ্তাহে কাজের দিন হবে চারটি। ছুটি থাকবে তিনদিন। বর্তমানে সরকারি কর্মীরা সপ্তাহে পাঁচদিন কাজ করেন। নতুন বিধি চালু হলে সপ্তাহে একদিন বাড়তি ছুটি পাবেন।

কর্মদিবসের পাশাপাশি কর্মীদের টেক হোম স্যালারি অর্থাৎ প্রভিডেন্ড ফান্ড ও অন্যান্য খাতে বেতন কাটার পর তাঁরা যে পরিমাণ অর্থ হাতে পান তার পরিমাণও বদলে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বদলে যাবে কাজের ঘণ্টাও।


সরকারি সূত্রের খবর, ২০২২-২৩ সালের আর্থিক বছর থেকে চালু হবে নতুন কর্ম-সংস্কৃতি। বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যে নতুন বিধির খসরা তৈরি করে ফেলেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন শ্রম বিধির খসড়া চূড়ান্ত করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। শ্রম বিষয়টি কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথ তালিকায় আছে। তাই মোদি সরকার চায়, রাজ্য সরকারগুলিও একই সঙ্গে নতুন শ্রমবিধি চালু করুক।

কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব গত সপ্তাহে রাজ্যসভায় জানান, কাজের জায়গায় নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ ও কর্মীদের স্বাস্থ্য নিয়ে বৃটি রাজ্য খসড়া বিধি প্রকাশ করেছেl।

রাজ্যগুলি হল উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, পাঞ্জাব মণিপুর, বিহার, হিমাচল প্রদেশ এবং কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর।

পর্যবেক্ষকদের মতে, নতুন বিধি চালু হলে কর্মীদের টেক হোম স্যালারি কমতে পারে। কারণ প্রভিডেন্ড ফান্ড সংক্রান্ত বিধি বদলাচ্ছে।

নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, কোনও কর্মীর অ্যালাওয়েন্স বা ভাতা তাঁর মূল বেতনের ৫০ শতাংশের বেশি হবে না সাধারণত কোনও কর্মীর বেতনের বহির্ভূত অংশ হয় ৫০ শতাংশের কম। শীঘ্রই এই নিয়ম বদলে যেতে পারে।