ফকির নয়, কোটিপতি মােদির সম্পত্তি বাড়ছে

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (File Photo: Twitter/@BJP4India)

ফকির নন, আদপে প্রধানমন্ত্রী কোটিপতি! একাধিকবার গলা তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি দাবি করেছেন, তিনি ফকির মানুষ। ঝােলা নিয়ে যখন তখন বেরিয়ে পড়তে পারেন। এদিকে পরিসংখ্যান কিন্তু বলছে অন্য কথা। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ মাসে মােদির অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি যে বেতন সংগ্রহ করেন তা জমিয়ে এই অর্থ সঞ্চয় বলে জানানাে হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ গত অর্থবর্ষের তুলনায় বেড়েছে ২৬.২৬ শতাংশ। গত অর্থবর্ষে তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬০ টাকা, যা চলতি বছর বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬২৮ টাকা। ১২ অক্টিোবর এই তথ্য প্রকাশিত করা হয়েছে। যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির ৩০ জুন পর্যন্ত সমস্ত সম্পত্তির হিসেব দেয়।

বর্তমানে তাঁর মােট সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ৮৫ লক্ষ। এই সম্পত্তির পরিমাণ গত বছর ছিল ২ কোটি ৪৯ লক্ষ। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লােকসভা নির্বাচনের সময় নিজের সম্পত্তি হিসেবে নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। সেই সময় দেখা গিয়েছিল পাঁচ বছরের ব্যবধানে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে ছিল ৫২ শতাংশ।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির আর্থিক বৃদ্ধির পেছনে মূল কারণ দেখা গেছে তিনি যে টাকা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেতন পান তার বেশিরভাগটাই তিনি সঞ্চয় করেন ব্যাঙ্কে এবং সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিনিযোগ করেন।

যদিও স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি হয়নি প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর বাড়ির সকল সদস্য গান্ধীনগরে একটি বাড়ির মালিক, যার বাজারমূল্য ১.১ কোটি টাকা। এই বাড়ির ২৫ শতাংশের মালিক প্রধানমন্ত্রী। 

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রত্যেক মাসে দু’লক্ষ টাকা বেতন পান মােদি। যদিও লকডাউনের সময় এই অর্থের ৩০ শতাংশ কেটে নিচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির কোনাে নিজস্ব গাড়ি নেই এবং তাঁর চারটি ৪৫ গ্রাম ওজনের সােনার আংটি রয়েছে, যার আনুমানিক বাজার মূল্য দেড় লক্ষ টাকা। 

এদিকে মােদির সম্পত্তির পরিমাণ বাড়লেও অনেকটাই কমেছে অমিত শাহের সম্পত্তি’র পরিমাণ। শেয়ার বাজারে অস্থিরতার জন্য এই সম্পত্তির হ্রাস, জানা গেছে এমনটাই। ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৩২.৩ কোটি টাকার মালিক ছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালের জুন মাসে তাঁর মােট সম্পত্তির পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ২৮ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। 

সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে অমিত শাহের স্ত্রী সােনাল শাহেরও। তাঁর সম্পত্তি’র পরিমাণ গত বছর ছিল ৯ কোটি। এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।