শীতে কাঁপছে উত্তর ভারত, চার রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা

লা নিনার প্রভাবে চলতি বছর উত্তর ভারতে আগেভাগেই জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। রবিবারের পর সোমবারও উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া এমনই থাকবে। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ, বিদর্ভ, ছত্তিশগড় এবং ওড়িশার কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে মঙ্গলবার পর্যন্ত।

জম্মু-কাশ্মীরে শীতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। অমরনাথের বেসক্যাম্পে নেমেছে সর্বনিম্ন –৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ দিনের সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড। পহেলগেম পারদ হিমাঙ্কের ৪ ডিগ্রি নিচে। শ্রীনগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা –০.৯ ডিগ্রি। রাজধানী দিল্লিতে নেমেছে ৮ ডিগ্রিতে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ১.৬ ডিগ্রি কম। পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থানের বহু জায়গায় তাপমাত্রা ৩–৭ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। পাঞ্জাবের ফরিদকোটে ৪.৪ ডিগ্রি এবং হরিয়ানার নার্নৌলে ৪.৬ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে।

মৌসম দপ্তর জানায়, উত্তর ও মধ্য কাশ্মীরের পার্বত্য অঞ্চলে হালকা তুষারপাত হতে পারে। হিমাচলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, বিলাসপুর ও মাণ্ডি জেলায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। রাজস্থানের ফতেহপুরেও পারদ নেমেছে ৩.৫ ডিগ্রিতে।


আগামী সপ্তাহে নতুন একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা উত্তর ভারতে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, লা নিনার কারণে এ বছর উত্তর ভারতে শীত দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং শৈত্যপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে। পশ্চিমবঙ্গেও এবার আগেই ঠান্ডা পড়েছে। কলকাতায় গত শনিবার পারদ নেমেছিল ১৪.৪ ডিগ্রিতে যা এই মরশুমের সর্বনিম্ন। রবিবার তা বেড়ে ১৫.২ ডিগ্রি হয়। সোমবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২৫–২৬ ডিগ্রির মধ্যে।