জেএনইউ-এ হামলার প্রতিবাদে সবর নোবেলজয়ী অভিজিৎ

অভিজিং বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: Scott Eisen/Getty Images/AFP)

জেএনইউ’তে মুখোশধারীদের তাণ্ডব সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে। দেশের ভাবমূর্তি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বিশ্ববাসী এই ঘটনা কিভাবে নেয়, এখন সেটাই দেখার।

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা নােবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া হামলার পর এভাবেই তাঁর মতামত ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, এই হামলার ঘটনায় নাৎসি জমানার পরিণত হওয়ার আগেকার বছরগুলিতে জার্মানির সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন তিনি।

এদিন অভিজিৎ বলেন, আমার মনে হয় বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তি নিয়ে যে ভারতীয়রা সহানুভূতিশীল, তাদের চিন্তিত হওয়া উচিত। জার্মানি যখন নাৎসি জমানায় রূপান্তরিত হচ্ছিল, সেইসব বছরগুলির ছায়াই যেন দেখা যাচ্ছে। গােটা ঘটনায় সবাই কাঠগড়ায় তুলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি’কে। যদিও সেই অভিযােগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি’র সভাপতি দুর্গেশ কুমার।


বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম জগদেশ কুমার অবশ্য গােটা ঘটনায় পড়ুয়াদেরকেই দোষারােপ করেছেন। এই অভিযােগ আর পাল্টা অভিযােগের মাঝে দাঁড়িয়ে আসল ঘটনা যাতে চাপা পড়ে না যায়, সেদিকে নজর রাখার জন্য নরেন্দ্র মােদির সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন অভিজিৎ।

আসল সত্যটা কি তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের। পাল্টা অভিযােগের স্বরে তা যেন ডুবে যেতে না দেওয়া হয়, এমনই মন্তব্য করেছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।

জেএনইউ-তে পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতিতে রীতিমত সক্রিয় ছিলেন অভিজিৎ। ১৯৮৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করায় তাঁকে জেলেও যেতে হয়েছিল। তিহার জেলে তিনি ছিলেন দশ’দিন। গেরুয়া হামলার পর একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, পড়য়া-শিক্ষকদের বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত। তাদের সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি।