এসআইআর চলাকালীন করতে হবে না অন্য কাজ, বিএলও-দের স্বস্তি দিল নির্বাচন কমিশন

এসআইআর অর্থাৎ ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কাজ চলাকালীন বিএলওদের অন্য কোনও কাজ করতে হবে না। পাশাপাশি এসআইআর–এর সঙ্গে যুক্ত কোনও কর্মীকেই বদলি করা যাবে না, এই বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল ম্যানেজমেন্টে আয়োজিত হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সব রাজ্যে সিইও–রা। সূত্রের খবর, এই বৈঠকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যে নভেম্বর প্রথমেই শুরু হতে চলেছে এসআইআর–এর প্রথম পর্যায়ের কাজ।

এসআইআর–এর কাজে বিএলও–দের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে অভিযোগ করেছেন, তালিকা সংশোধনের সময় বা পরে তাঁদের হেনস্থা করা হতে পারে। সেই কারণে অনেকেই এই কাজে অনীহা প্রকাশ করছেন। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছেন, সব রকমভাবে বিএলও–দের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করবে কমিশন। আবার অনেক বিএলও অভিযোগ করেছেন, নিজেদের কাজের সঙ্গে এসআইআর–এর কাজ চালাতে তাঁদের সমস্যা হবে। এই আবহে কমিশন স্পষ্ট করেছে, এসআইআর–এর কাজ চলাকালীন বিএলওদের অন্য কাজ করতে হবে না, শিক্ষকদের জন্যও কিছু শর্ত প্রযোজ্য থাকবে। পাশাপাশি তাঁদের বলদিও করা যাবে না। মনে করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপের কারণে এই কাজে অনীহা অনেকাংশে কমে যাবে।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও কেরলে আগামী বছর ভোট রয়েছে। সেই কারণে এই রাজ্যগুলিতে এসআইআর–এর প্রথম দফার কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের আগে তালিকা সংশোধনের কাজ পুরোপুরি শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গেও সংশোধিত তালিকা ধরেই নির্বাচন করাতে চাইছে কমিশন। এই আবহে বর্তমানে নির্বাচন কমিশন বিএলও, বিএলএ, ডিইও, ইআরও, এইআরও–দের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের কাজ করছে। এই কাজের জন্য সময়সীমাও বেধে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুরনো তালিকার সঙ্গে নতুন তালিকা মিলিয়ে দেখা, নির্বাচনের আগে কর্মীদের প্রস্তুতি ইত্যাদির কাজও চলছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৬০০–র বেশি কর্মী বিএলও–র কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। এর কারণ জানতে চেয়ে তাঁদের শোকজ করেছে কমিশন।