দিল্লি দাঙ্গা মামলা, উমর খালিদ সহ ৯ অভিযুক্তের জামিন খারিজ

২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গা সংক্রান্ত ‘বড়সড় ষড়যন্ত্র’ মামলায় জামিনের আবেদন খারিজ হল উমর খালিদ, শরজিল ইমাম সহ ৯ জন অভিযুক্তের। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি নবীন চাওলা ও বিচারপতি শালিন্ডর কৌরের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেয়। এই মামলায় জামিন খারিজ হয়েছে উমর খালিদ, শরজিল ইমাম, মহম্মদ সেলিম খান, শিফা-উর-রহমান, আথার খান, মীরান হায়দার, শাদাব আহমেদ, আবদুল খালিদ সইফি এবং গালফিশা ফাতিমার। এর আগে তসলিম আহমেদের জামিন আবেদনও খারিজ করেছিল হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে সংঘটিত ভয়াবহ দাঙ্গায় প্রাণ হারান ৫০-রও বেশি মানুষ, আহত হন ৭০০ জনেরও বেশি। দিল্লি পুলিশের দাবি, এই দাঙ্গার পেছনে ছিল একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে অভিযুক্ত উমর খালিদ ও শরজিল ইমাম সহ আরও কয়েকজন। এই মামলায় ইউএপিএ-র আওতায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, তাঁদের মক্কেলরা চার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচারাধীন অবস্থায় জেলে রয়েছেন এবং বিচারপ্রক্রিয়ার ধীরগতির কারণে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন প্রাপ্য।

সরকারের পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতে জানান, ‘এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা হয়েছে। জাতির বিরুদ্ধে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেলেই থাকা উচিত।’ উমর খালিদ বলেন, ‘আমি শুধু কয়েকটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের সদস্য ছিলাম, তা কোনও অপরাধ নয়। আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই।’ শরজিল ইমামের দাবি, ‘আমি অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতাম না। আমার বক্তব্য বা চ্যাটে কোথাও হিংসার প্ররোচনার প্রমাণ নেই।’


২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কারাবন্দি রয়েছেন উমর খালিদ। তবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে পরিবারের এক বিয়েতে যোগ দিতে সাত দিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন তিনি। শরজিল ইমামের জামিন আবেদন ঝুলে ছিল ২০২২ সাল থেকে। এই রায়ের বিরুদ্ধে শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা।