সমর্থন প্রত্যাহার করেও সিদ্ধান্ত বদল নীতীশের দলের

মণিপুরে সংঘর্ষ রোধে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফাইল চিত্র

প্রথমে সমর্থন প্রত্যাহার, তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের সিদ্ধান্ত ‍বদল। বুধবার দুপুরে জানা যায়, হিংসাদীর্ণ মণিপুরের এন বীরেন সিংহের সরকারের থেকে সমর্থন তুলে নিচ্ছে নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেড। এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই আসরে নামেন জেডিইউ নেতৃত্ব। স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, মণিপুরে বিজেপি সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলছে না তাঁরা। তবে রাজনীতিবিদদের একাংশের মতে, চাপে পড়েই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এর চেষ্টা করল জেডিইউ।

বুধবার দুপুরে জানা যায়, রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লাকে চিঠি লিখে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানান মণিপুরের জেডিইউ রাজ্য সভাপতি কেশ বীরেন সিংহ। সেই চিঠিতে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন মণিপুরের রাজ্য সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করছে জেডিইউ। শুধু রাজ্যপাল নন, মুখ্যমন্ত্রী বীরেন এবং বিধানসভার স্পিকারকেও বিষয়টি জানানো হয়। এ কথা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক চর্চা। গুঞ্জন ওঠে, তাহলে কী পুরনো বন্ধুও ‍বিজেপির উপর মণিপুর নিয়ে চাপ সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে ‍বিহার নির্বাচনের আগে বিজেপি চালিত সরকারের উপর থেকে নীতীশের দলের সমর্থন প্রত্যাহারের তাৎপর্য নিয়েও শুরু হয়ে যায় কাঁটাছেড়া।

তবে এই চর্চার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের মোড় ঘুরে যায়। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, বুধবার জেডিইউ–র জাতীয় মুখপাত্র রাজীবরঞ্জন প্রসাদ জানিয়েছেন, রাজ্যপালকে পাঠানো ওই চিঠি ‍বিভ্রান্তিকর। সমর্থন প্রত্যাহারের ‍বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে কেশ ‍বীরেন কোনও আলোচনা না করেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে কেশ ‍বীরেনকে নীতীশের দল ‍বরখাস্ত করেছে বলেও জানা গিয়েছে।


২০২২ সালে মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল জেডিইউ। নির্বাচনে ৬টি আসনে জয় পায় তারা। নির্বাচন জেতার কয়েক মাস পরেই জেডিইউ-এর পাঁচ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন। তবে এখনও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগকে সামনে রেখেই মণিপুরে বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেডিইউ, এমনই জানান কেশ বীরেন। সেই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায়। তড়িঘড়ি আসরে নামেন জেডিইউ নেতৃত্ব। জেডিইউ-র জাতীয় মুখপাত্র রাজীবরঞ্জন প্রসাদ ওই চিঠিকে ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য নেতৃত্ব জেডিইউ-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই রাজ্যপালকে চিঠি লিখে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানান। এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়