বেকার ভাতার পর সরকারি কাজে গতি আনতে ট্যাবলেট-স্মার্টফোন বিলি

বিহার নির্বাচনের আগে বড় ঘোষণা নীতীশ কুমারের। “মহাদলিত উন্নয়ন মিশন”-এর কর্মীদের ট্যাবলেট কেনার জন্য এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিহার প্রশাসনের। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে যাতায়াত এবং স্টেশনারি ভাতাও। তৃণমূল স্তরে উন্নয়নমূলক কাজে আরও গতি আনতেই এই সিদ্ধান্ত বলে সরকারি সূত্রের দাবি। বিহারে ১০ হাজারেরও বেশি “বিকাশ মিত্র” রয়েছেন।

তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের কাছে সরকারি প্রকল্পগুলি পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন বিকাশ মিত্ররা। তাঁদের হাতে ট্যাবলেট তুলে দিলে কাজে গতি আসবে। ট্যাবলেট দেওয়ার সঙ্গে বিকাশ মিত্রদের পরিবহণ ভাতাও বাড়ানো হয়েছে। প্রতি মাসে ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। স্টেশনারি ভাতা ৯০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা করা হয়েছে।

বিকাশ মিত্ররা বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের তথ্য সহজে সংরক্ষণ এবং অন্যান্য কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন করতে পারেন তার জন্য এই ট্যাবলেট দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। কারণ তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের কাছে সরকারি প্রকল্পগুলি পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন ‘বিকাশ মিত্র’রা। তাঁদের হাতে ট্যাবলেট তুলে দিলে কাজে গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।


বিহারের মুখ্যমন্ত্রী রবিবার জানিয়েছেন, মহাদলিত, দলিত, সংখ্যালঘু এবং অতি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে এবং মহিলাদের সাক্ষরতায় ভূমিকা রাখা ‘শিক্ষা সেবক’দের জন্যও নতুন সুবিধা চালু হচ্ছে। ‘আক্ষর আঁচল’ প্রকল্পের অন্তর্গত এই কর্মীদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। যাতে তাঁরা স্মার্টফোন কিনতে পারেন। ডিজিটাল কাজ সহজে করার জন্যই এই উদ্যোগ। শিক্ষা সেবকদের খাতেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। ফলে বর্ধিত বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ৬০০০ টাকা।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বেকার স্নাতকদের জন্য দুই বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ২০-২৫ বছর বয়সি সব বেকার যুবক-যুবতীরা মাসিক ১ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। দু’বছরের মধ্যে কাজ না পেলেও ওই ভাতা দেওয়া হবে।

এর আগে সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৫ শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছিল। যুব সম্প্রদায়ের জন্য “বিহার যুব কমিশন” গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন জেডিইউ সুপ্রিমো। দ্বাদশ উত্তীর্ণদের ৪০০০ টাকা এবং স্নাতকদের ৬ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের সম্ভবনাময় তরুণদের ইন্টার্নশিপ হিসাবে এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে। এর আগে বিধবা এবং বয়স্কদের পেনশন বৃদ্ধি করার কথাও ঘোষণা করেছিলেন নীতীশ কুমার। সেটি ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১০০ টাকা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সামনেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। তা মাথায় রেখেই নীতীশ কুমারে এই ঘোষণা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস, আরজেডির পাশাপাশি নীতীশের বড় চ্যালেঞ্জ প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজও। তাই ভোটের আগে রাজ্যবাসীকে দু’হাত ভরে উপহার দিচ্ছেন নীতীশ সরকার।