২৫ বছরে দশমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার। বৃহস্পতিবার পাটনার ঐতিহ্যবাহী গান্ধী ময়দানে শপথ নেন নীতীশ। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নীতীশকে শপথবাক্য পাঠ করান বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ এনডিএ শাসিত সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার নীতীশের ডেপুটি হিসাবে শপথ নিয়েছেন বিদায়ী সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় সিনহা। এঁদের মধ্যে সম্রাট চৌধুরী বিহার বিজেপির সংসদীয় দলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন। উপদলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন বিজয় সিনহা। এদিন মন্ত্রীপদে শপথ নিয়েছেন মোট ১৯ জন নেতা। মন্ত্রীসভার বণ্টনে বিজেপির পাল্লা ভারী। মন্ত্রীসভার ১৯ সদস্যের মধ্যে ১০ জনই বিজেপির। ১টি করে মন্ত্রক পেয়েছে চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি (আর), জিতন রাম মাঝির হাম ও উপেন্দ্র কুশওয়াহার আরএলএম। নীতীশের দলের মাত্র ৬ জন নেতা এদিন শপথ নিয়েছেন।
১৩-১৪টি মন্ত্রক পেতে পারে নীতীশের জেডিইউ। চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি (আর) থেকে ৩ জন মন্ত্রী হবেন। জিতন রাম মাঝির হাম এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার আরএলএম একটি করে মন্ত্রক পাবে। কিন্তু শপথের মঞ্চে সেই ফর্মুলা কার্যকর করার ইঙ্গিত মেলেনি। যদিও পরে মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।
বিহারের দীর্ঘ দিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী থাকার কৃতিত্ব নীতীশ কুমারের ঝুলিতে। তিনি বহু বছর ধরে একাধিক মেয়াদে এই পদে রয়েছেন। কখনও আরজেডি তো কখনও বিজেপির সঙ্গে জোট করে ৯ বার মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন সমতা পার্টির হয়ে। সেবার মাত্র ৭ দিন মসনদে ছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে বিহারের রাজনীতিতে অনিবার্য মুখ হয়ে ওঠেন নীতীশ।