আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানের পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিতর্ক

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জড়ানোর পর এবার প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকীর পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে শুরু হল নতুন বিতর্ক। মধ্যপ্রদেশের মহু ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অভিযোগ করেছে, সিদ্দিকী পরিবারের এক ব্যক্তিগত বাড়ি অবৈধ ভাবে তৈরি হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বোর্ডের তরফে পাঠানো হয়েছে কঠোর নোটিস।

মহু ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড জানিয়েছে, মুকেরি মহল্লা এলাকায় অবস্থিত ওই বাড়িটি বহু বছর ধরেই ক্যান্টনমেন্ট আইনের নিয়ম ভেঙে তৈরি। বোর্ডের এক কর্তার বক্তব্য, ‘আগামী তিন দিনের মধ্যে বাড়িটি ভেঙে ফেলতে হবে। নির্দেশ না মানলে বোর্ড নিজেই ভেঙে দেবে এবং সেই খরচ আদায় করা হবে মালিকদের কাছ থেকেই।’

ইঞ্জিনিয়ার এইচ এস কালোয়া জানিয়েছেন, ‘আমরা জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকীর বাবা মরহুম মৌলানা হাম্মাদের নামে নথিভুক্ত সম্পত্তিতে নোটিস পাঠিয়েছি। এর আগেও ১৯৯৬ ও ১৯৯৭ সালে ক্যান্টনমেন্ট আইন, ১৯২৪ অনুসারে একাধিক নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তখনও বলা হয়েছিল যে অবৈধ নির্মাণ অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে হবে।’ তাঁর দাবি, এত নোটিস পাঠানো সত্ত্বেও মালিকেরা কোনও ব্যবস্থা নেননি।


ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড সূত্রের বক্তব্য, বহু বছর ধরে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ ঝুলে থাকলেও সিদ্দিকী পরিবার বিষয়টি উপেক্ষা করেছে। এ বার তাই তিন দিনের কঠোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে বোর্ড সরাসরি ভাঙার কাজ শুরু করবে এবং বাড়তি খরচ মালিকদের উপরেই বর্তাবে।

আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই আলোচনায় রয়েছে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্তদের ‘আশ্রয়’ দেওয়ার অভিযোগে। তার মধ্যেই চেয়ারম্যানের পারিবারিক সম্পত্তিতে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা ও কার্যপদ্ধতি নিয়ে।