ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা, পরবর্তী শুনানি ৩০ অক্টোবর

ফাইল চিত্র

সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ন্যাশনাল হেরাল্ড সম্পর্কিত অর্থ পাচারের মামলায় ইডির কাছে কিছু প্রশ্নের ব্যাখ্যা চেয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। বিচারক বিশাল গোগনে মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ অক্টোবর করার নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার আদালত এই মামলায় ইন-ক্যামেরা শুনানি করেছে। শুনানির সময় ইডির পক্ষ থেকে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর এন কে মাটা, ইডির সহকারী পরিচালক শিব কুমার গুপ্ত, অধিকারী ঋষি রিতেশ এবং সহকারী অধিকারী সাহিল উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সুব্রমানিয়াম স্বামীর ২০১৪ সালের ৪ জুলাই ইডির কাছে দায়ের করা অভিযোগের একটি কপি এবং ২০২১ সালের ৩০ জুনের আরও একটি নথির কপি তারিখের একটি নথির কপি ইডি গত ৬ সেপ্টেম্বর জমা দিয়েছিল আদলতে। আদালত সেগুলি রেকর্ডে গ্রহণ করে এই নথিগুলি অভিযুক্তদের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

মামলার শুনানির সময় ইডি জানিয়েছিল, যাঁরা কংগ্রেসকে অনুদান দিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ইডি আরও জানিয়েছে, যাঁরা দান দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কিছু ব্যক্তিকে নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হয়েছে। আইনজীবী রাজু, গান্ধী পরিবারের সেই যুক্তির বিরোধিতা করে বলেছেন, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল)-এর উপর তাঁদের কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তিনি বলেছেন, এজেএল মূলত ন্যাশনাল হেরাল্ডের প্রকাশক।


সোনিয়া গান্ধীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ইডি একটি চমকপ্রদ এবং অপ্রত্যাশিত মামলা তৈরি করেছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, মনি লন্ডারিংয়ের এমন একটি মামলা সাজিয়েছে ইডি যেখানে সম্পত্তির কোনও উল্লেখ নেই। সিংভি বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েটেড জেনারেল লিমিটেড’কে ঋণমুক্ত করার জন্য ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান’ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।

তিনি আরও বলেন যে, প্রতিটি কোম্পানি আইন অনুযায়ী নিজেদের ঋণমুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ইডি বছরের পর বছর কিছুই করেনি এবং একটি ব্যক্তিগত অভিযোগের উপর ভিত্তি করে এখন পদক্ষেপ নিচ্ছে।  ইডি এই মামলায় কংগ্রেস নেত্রী ও সাংসদ সোনিয়া গান্ধী, লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং স্যাম পিত্রোদাকে অভিযুক্ত করেছে। ইডি ‘মনি লন্ডারিং’ আইন-এর ধারা ৪৪ এবং ৪৫-এর অধীনে অভিযোগ দায়ের করেছে।