ওড়িশার হাসপাতালে তরুণী নার্সের রহস্য মৃত্যু

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ভুবনেশ্বর, ৯ আগস্ট– আরজি করের ছায়া এবার ডবল ইঞ্জিন সরকার শাসিত ওড়িশাতেও। শনিবার রহস্যমৃত্যু এক নার্সের। ভুবনেশ্বরের হাসপাতালের শৌচাগারে উদ্ধার হল তাঁর দেহ। আরজি করকাণ্ডের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে কলকাতার রাজপথ যখন আন্দোলনে উত্তাল তখনই ওড়িশার রাজধানীতে উদ্ধার হল ওই নার্সের দেহ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ওড়িশা পুলিশ। মৃত্যুর কারণ খুঁজতে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হাসপাতালের অন্য কর্মীদেরও।

তবে মৃতার পরিবারের অভিযোগ, ওই তরুণীর মৃত্যুর নেপথ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও ভূমিকা রয়েছে। তার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার প্রায় দু’ঘণ্টা পরে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নিহত তরুণীর পরিবার।

জানা গিয়েছে, মৃত ওই তরুণী নার্সের হাতের তালুর পিছন দিকে একটি সূচ বেঁধানো ছিল। মৃতার ভাইকে উদ্ধৃত করে একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে কোনও বিষাক্ত পদার্থ শরীরে প্রবেশ করানোর কারণে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি খুন না আত্মহত্যা, তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে পুলিশের অন্দরেই।


উল্লেখ্য, শনিবারই রাখি উপলক্ষে ওই তরুণী নার্সের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। ফোনে বোনের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর ভাইয়ের। এর পরেই তাঁর এই মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য। মৃতার ভাইয়ের অভিযোগ, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের বলা হয়েছিল, বোনকে হাসপাতালের শৌচাগারে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। পরে আমরা গিয়ে জানতে পারি, আগেই বোনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পুলিশ বলছে, ওর হাতে একটি সিরিঞ্জ বেঁধানো ছিল, যা আত্মহত্যার দিকে ইঙ্গিত করে। অথচ ওর জীবনে এমন কোনও গুরুতর সমস্যা চলছিল না, যার জন্য ওকে এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’