দেশের আর্থিক উন্নয়নের হার কমাল ‘মুডি’

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

চলতি আর্থিক বর্ষে ঘােষিত ও প্রত্যাশিত আর্থিক বৃদ্ধির হার কম হবে বলে জানিয়েছে মুডি ইনভেস্টরস সার্ভিসেস। সংস্থার পক্ষে জানানাে হয়েছে, বিগত দুই বছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। প্রত্যাশিত বৃদ্ধির হার আরও বিলম্বিত হবে। ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য বৃদ্ধির হার ঘােষণা করা হয়েছিল যথাক্রমে ৬.৬ এবং ৬.৭ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে তা ৫.৪ এবং ৫.৮ শতাংশ হবে বলে রিপাের্টে উল্লেখ করা হয়েছে। 

মুডির সমীক্ষা বছর অনুযায়ী হিসেব করা হয়। ২০১১ সালে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ বলে জানানাে হয়েছিল। নভেম্বর মাসে এই সংস্থাই ২০২০-২০২১ সালে আর্থিক বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৬.৬ এবং ৬.৭ শতাংশ হবে বলে ঘােষণা করেছিল। কিন্তু তাদের সাম্প্রতিক হিসেবে আর্থিক বৃদ্ধির হার শথের জন্য দেশীয় কারণকেই দায়ী করা হয়েছে বিদেশী প্রভাবের থেকে। 

স্থানীয় চাহিদা ও ব্যাঙ্ক ঋণ পরিমাণে বৃদ্ধিকেই ভারতের আর্থিক উন্নয়নের প্রধান দুই হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মুডির পক্ষে জানানাে হয়েছে, এই দুই উপাদানের পারস্পরিক মন্দার কারণে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী। এই অবস্থা মােকাবিলার সদর্থক উপায় উদ্ভাবন করতে না পারলে বৃদ্ধির হার আরও নিম্নমুখী হতে বাধ্য বলে রিপাের্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মুদ্রস্ফীতিও এই বৃদ্ধির হারে অন্যতম প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। 


বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির হার ২- শতাংশ। কিন্তু রিজার্ভ ব্যয়ের হিসাব ছিল ৪ শতাংশের মধ্যে। কিন্তু সুদের হার হ্রাস করেও ব্যাঙ্কের ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধিতে এমনভাবে সাড়া জাগাতে পারেনি। আর বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ঋণের গ্রহণে বন্ধা অবস্থা-পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে বলে জানানাে হয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে শিল্প ঋণের পরিমাণ বার্ষিক ১.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে পরিষেবা ক্ষেত্রে তা ৬.২ শাতংশ এবং কৃষি ক্ষেত্রে ৫.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। 

আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা সম্পর্কে মুডিজ রিপাের্টে চিনের অর্থনীতি সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানানাে হয়েছে। জি-২০ দেশগুলির বৃদ্ধির হারে যৌথভাবে ২০২০ সালে ২.৪ এবং ২০২১ সালে কিছুটা উন্নতি করে ২.৮ শতাংশ বৃদ্ধি হবে বলে জানানাে হয়েছে। ২০২০ সালে চিনের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫.২ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৫.৭ শতাংশ বলে জানানাে হয়েছে।