আফগানিস্তান নিয়ে জরুরি বৈঠকে মােদি-শাহ, ছিলেন অজিত দোভালও

মােদি-শাহ ও অজিত দোভাল (Photo:SNS)

আফগানিস্তানে সরকার গড়ার তৎপরতা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের এই জেহাদি গােষ্ঠী কাশ্মীর নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছে। আগামী রূপরেখা ঠিক করতে আফগানিস্তান নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। সােমবার নয়াদিল্লিতে নিজের বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। আফগানিস্তানকে ঘিরে ভারতের রণকৌশল কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে এই বৈঠকে বিশদে আলােচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে ভারতের যে লগ্নি রয়েছে, তা কীভাবে রক্ষা করা যায়।

সেই সঙ্গে ভারতে যাতে সন্ত্রাস রফতানি করতে না পারে, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন আফগানিস্তান ইস্যুকে সামনে রেখে। এই বৈঠকের আগে আফগানিস্তান সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দেওয়ার জন্য বিদেশ মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মােদি।


১৫ আগস্ট কাবুল দখল হওয়ার পর থেকে আফগান-শিখ ও হিন্দুদের দেশে ফেরানাের কাজ শুরু করে ভারত। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি নীতি নির্ধারণ কমিটি তৈরি করে। আফগানিস্তানের ৩৪ টি প্রদেশে ভারতের ৪০০-র বেশি প্রকল্প রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মােট পরিমাণ দেড় বিলিয়ন ডলার।

তালিবানরা ইতিমধ্যে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ভারতের যেসব প্রকল্প আফগানিস্তানে চলছে, সেগুলির কোনও ক্ষতি করা হবে না। কিন্তু মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে স্বক্তি পাচ্ছে না নয়াদিল্লি। সে কারণে কীভাবে এগােনাে হবে, এ বিষয়ে তা নিয়েও আলােচনা হয়।

এদিকে চিন ‘বেল্ট অ্যান্ড রােড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পে আফগানিস্তানকে শামিল করেছিল। পূর্ব লাদাখে ভারতকে যে নতুনভাবে বিব্রত করা হবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? সব মিলিয়ে আফগানিস্তানে তালিবান শাসন কেমন হবে, তার আগাম আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করছে। ভারত আর সেই বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, তা নিয়েই এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।