‘চৌরি-চৌরা’র শতবর্ষের অনুষ্ঠানে আক্ষেপ মোদির

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (File Photo: IANS)

ব্রিটিশ শাসিত ভারতে ১৯২২ সালে চৌরী-চৌরার সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে পুলিশের সেই লড়াইয়ের ১০০ বছর অতিক্রান্ত। সেই কারণেই এবার এই ঘটনাকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে বৃহস্পতিবার যার ভারচুয়াল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। এই ঘটনা ভারতীয় ইতিহাসের পাতায় সেভাবে গুরুত্ব পায়নি বলে আক্ষেপ মােদির।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত থেকে একটি পােস্টাল স্ট্যাম্পের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন গােরক্ষপুর জেলার এই চৌরী-চৌরায় অসহযােগ আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের উপর নির্যাতন চালায় ব্রিটিশ পুলিশ। পালটা তাদের ধাওয়া করেন বিপ্লবীরা। তাঁদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে থানায় আশ্রয় নিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। এরপরই থানায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যুত্তরে গুলি চালায় পুলিশও। গােটা ঘটনায় প্রাণ হারান সাধারণ নাগরিক ও পুলিশকর্মী।

স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সেই অধ্যায়ের কথা তুলে ধরে মােদি বলেন, তাঁদের সেই রক্তক্ষয়ী বিপ্লব ইতহাসের পাতায় সেভাবে গুরুত্ব না পেলেও দেশবাসীর মননে রয়ে গিয়েছে। এবং তা আজও আমাদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার পাশাপাশি উঠে আসে কৃষকদের কথা।


দেশে কৃষকদের গুরুত্ব বােঝাতে বিপ্লবীদের সঙ্গেও তাঁদের তুলনা টেনে বলেন গত কয়েক বছরে দেশ কৃষিতে উল্লেখযােগ্য উন্নতি করেছে। আর পুরােটাই সম্ভব হয়েছে কৃষকদের জন্য।

প্রসঙ্গত, চৌরী-চৌরার শতবর্ষ স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। রাজ্যের প্রতিটি জেলার বাসিন্দা একসঙ্গে শহিদদের স্মরণ করে স্যালুট জানিয়ে বন্দেমাতরম গানটির প্রথম স্তবকটি গাইবেন।

অসংখ্য মানুষ এই গান গাইছেন তা ভিডিও করা হবে। একসঙ্গে এত মানুষ বন্দেমাতরম গাওয়ায় তৈরি হবে বিশ্বরেকর্ডও। এছাড়াও স্কুলে বিভিন্ন সংস্কৃতিমুলক অনুষ্ঠানের আৰোজনও করা হচ্ছে।