প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশ-বিদেশ থেকে তাঁর ৭৫তম জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন-সহ বিভিন্ন বিশ্বনেতার শুভেচ্ছাবার্তায় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মোদী।
বুধবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এক্স হ্যান্ডেলে মোদীর শুভেচ্ছা বার্তায় লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনার কঠোর পরিশ্রম এবং নেতৃত্বে দেশ মহান লক্ষ্যের পথে এগোচ্ছে। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আপনি সুস্থ থাকুন, দীর্ঘায়ু হোন।’ অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রীকে ‘ত্যাগ ও নিষ্ঠার প্রতীক’ আখ্যা দিয়ে লেখেন, ‘রাষ্ট্র সবার আগে’ এই আদর্শকে তিনি জীবন্ত অনুপ্রেরণা করে নিয়েছেন। রাজনাথ সিং তাঁর প্রথম সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা টেনে লিখেছেন, মোদীর নেতৃত্ব ভারতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।
রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি। খাড়গে লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ঈশ্বর তাঁকে সুস্থ রাখুন।’ রাহুল গান্ধী এক লাইনে লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন।
শুধু ভারত নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকেও বার্তা এসেছে। মঙ্গলবার রাতে (ভারতীয় সময়) ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় দুই নেতা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বাণিজ্যিক সম্পর্ক-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেন। মোদী এক্স-এ লেখেন, ‘৭৫তম জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ বন্ধু ট্রাম্প। ভারত-আমেরিকার সম্পর্ককে আমরা আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।’ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীও ভিডিও বার্তায় মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ট্রাম্পের উদ্যোগের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন মোদী। তিনি লেখেন, ‘আমরা রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আপনার উদ্যোগকে সমর্থন করি।’ ১৭ জুনের পর ট্রাম্প ও মোদীর মধ্যে এটি প্রথম ফোনালাপ।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত চারবার ট্রাম্প মোদীকে ফোন করেন। তবে মোদী ফোন তোলেননি এবং কথা বলেননি। বাণিজ্যিক সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে, মোদীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ট্রাম্পের ফোন কিছুটা ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্মদিনে এই ফোনালাপের মাধ্যমে ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সম্ভাবনার উন্মোচন হতে পারে, বিশেষ করে বিশ্বরাজনীতিতে। ট্রাম্পের এই উদ্যোগ ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে।