টার্গেট বিহার ও বাংলা! ছট পুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির প্রতিশ্রুতি অন্যদিকে দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো স্বীকৃতির দাবি মোদীর

নভেম্বরের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তিন দফায় হতে পারে এবারের বিহারের নির্বাচন। বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে নীতীশ কুমার এবং গেরুয়া শিবির। বিহারের জনসাধারণের মন পেতে মরিয়া জেডিইউ-বিজেপির এনডিএ জোট। উৎসবের মরশুমে তাই এবার বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

ছট পুজোকে যাতে ইউনেস্কোর ‘ইনট্যানজিবেল কালচারাল হেরিটেজে’-র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তার জন্য কেন্দ্র কাজ করছে বলে দাবি করেন মোদী। রবিবার ‘মন কি বাত’-এর ১২৬তম পর্বে মোদী বলেন, ‘বিহারের বিখ্যাত উৎসব ছট পুজো এখন বিশ্বব্যাপী হয়ে উঠছে। তাই এই উৎসবকে যাতে ইউনেস্কোর ‘ইনট্যানজিবেল কালচারাল হেরিটেজে’-র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তার জন্য কাজ করছে কেন্দ্র।‘

তিনি এদিন  ‘মন কি বাত’-এ শুধু ছট পুজোর কথাই উল্লেখ করেননি। সেই সঙ্গে বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো নিয়েও  তাঁর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ষষ্ঠীর দিন ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান থেকে মোদী দাবি করেন, কেন্দ্রের লাগাতার প্রচেষ্টার ফলেই দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর ‘ইনট্যানজিবেল কালচারাল হেরিটেজ’  শিরোপা এনে দিয়েছে।  তাঁর এই দাবি ঘিরে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তৃণমূলরে তরফে এখনও পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


মোদীর কথায়, ‘ছটপুজো শুধু ভারতের নানা প্রান্তে নয়, গোটা বিশ্বের নানা প্রান্তে পালিত হয়। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে এই প্রাচীন সংস্কৃতি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পায়।’ সেই সঙ্গে দুর্গাপুজোর ‘ইনট্যানজিবেল কালচারাল হেরিটেজ’-এর কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, বাংলার দুর্গাপুজোর এই স্বীকৃতির নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রের লাগাতার প্রচেষ্টা। মোদী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ভারত সরকারের এই প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’

দুর্গাপুজোর ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দান নিয়ে এতদিন গর্বপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো দাবি করেন ‘বিসর্জন কার্নিভাল’ই উৎসবের জৌলুস আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। শারদোৎসবকে বিশ্বের দরবারে সম্মান এনে দিয়েছে।

সে কারণেই ইউনেস্কোর তরফে বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের শিরোপা পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। ২০২১ সালে এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় বাংলা ও বাঙালির এই শ্রেষ্ঠ উৎসব। চার বছর পর হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদী সেই কৃতিত্ব দাবি করায় এনিয়ে সমালোচনা স্বাভাবিক। তার উপর আবার দুর্গাপুজোর মাঝে তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বাংলার ভোট বৈতরণী পারের কৌশল হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।