সারে ১৪০ শতাংশ ভর্তুকি বাড়িয়ে দিল মােদি সরকার

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম উর্ধ্বমুখী। এবার কৃষকদের সুবিধার্থে এবার সারে ভর্তুকি ১৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের তরফে বলা হয়েছে সেই দামের আঁচ যাতে কৃষকদের গায়ে না লাগে তা সুনিশ্চিত করতে চাইছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়েরমতে এই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক। অতীতে কখনও কোনও কেন্দ্রের সরকার সারে এত পরিমাণ ভর্তুকি দেয়নি। 

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বর্ধিত দাম পুরােটাই বহন করবে কেন্দ্র। চাষিরা পুরনাে দামেই সার পাবেন। যার ফলে কেন্দ্রকে অতিরিক্ত ১৪ হাজার ৭৫৫ কোটি ভর্তুকি বাবদ খরচ করতে হবে। 


বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সারের ভর্তুকি বাড়ানাের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর প্রতি বস্তা সার তথা ডাই অ্যামােনিয়াম ফসফেটের বাজার মূল্য ছিল ১৭০০ টাকা। কেন্দ্র ভর্তুকি দেয় বস্তা প্রতি ৫০০ টাকা। সেই ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়ে এ বার প্রতি বস্তায় ১২০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মােদি সরকার।

প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের তরফে বলা হয়েছে সার তৈরির জন্য ফসফরিক অ্যাসিড অ্যামােনিয়া ইত্যাদির প্রয়ােজন হয়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে সেগুলির দাম ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ফলে প্রতি বস্তা সারের দাম ১৭০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৪০০ টাকা হয়েছে।

কেন্দ্রের বর্তমান ভর্তুকির পরিমাণ বাবদ দিলেও কৃষকদের ১৯০০ টাকা দিয়ে এক বস্তা সার কিনতে হত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কৃষকদের উপর আর বােঝা চাপানাে যাবে না। বর্ধিতমূল্য সরকারই বহন করবে। ফলে চাষিরা প্রতি বস্তা ১২০০ টাকা মূল্যেই ডিএপি সার কিনতে পারবেন। 

প্রসঙ্গত মনমােহন জমানায় ইউরিয়ার দাম নিয়ন্ত্রণের পথে হেঁটেছিল কেন্দ্র। কারণ সারের দামের উপর ভর্তুকি নিয়ে আন্তজাতিক মহলে বারবার আপত্তি উঠেছে ডব্লিউটিও মিটিংয়ের উন্নত দেশগুলি বারবার জানিয়েছে যে সে ক্ষেত্রে প্রতিযােগিতার পরিবেশ থাকছে। কিন্তু ঘরােয়া রাজনৈতিক ও আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির কারণে তা কখনও শুনতে চায়নি নয়াদিল্লি।