বিধানসভা নির্বাচনে আগে বিহারে বড় ধাক্কা খেল এনডিএ। শনিবার দ্বারভাঙ্গা জেলার আলিনগরের বিজেপি বিধায়ক মিশ্রীলাল যাদব দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। মিশ্রীলাল বলেন, ‘এনডিএ-তে দলিত এবং অনগ্রসরেরা বঞ্চিত। তাঁরা প্রাপ্য সম্মান পান না।’
দলত্যাগী বিধায়ক মিশ্রীলাল যাদব বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন, ‘আমার মনে হয় যে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, দলিতদের বিজেপিতে সম্মান পাওয়া খুবই কঠিন। বিজেপি সম্পূর্ণভাবে দলিত-বিরোধী। আমার মতো একজন আত্মমর্যাদাশীল ব্যক্তির পক্ষে এক মুহূর্তের জন্যও বিজেপিতে থাকা সম্ভব নয়। বিজেপিতে কেবল পিছিয়ে পড়া এবং দলিতদেরই অপমান করা হচ্ছে না, এখানে আমিও অপমানিত হচ্ছি। আমার আত্মসম্মানে আঘাত করা হচ্ছে। আমার মতো একজন বিধায়কের পক্ষে ভারতীয় জনতা পার্টিতে আত্মসম্মান বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমি বিজেপির রাজ্য সভাপতির কাছে একটি চিঠির মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দিচ্ছি।’
২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে এনডিএ-র তৎকালীন সহযোগী বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-র টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন মিশ্রীলাল। পরে অবশ্য তিনি সেই দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এদিকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি এনডিএ। সূত্রের খবর, ২৪৩টি আসনের মধ্যে জেডিইউ ১০২, বিজেপি ১০১, এলজেপিআর ২৫টি আসনে লড়বে। এছাড়াও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝির হিন্দুস্থানি আওয়াম মোর্চাকে ৮টি এবং আরএলএমকে ৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে দু’দফায় ভোট হবে। এবারের ভোটেও মূল লড়াই এনডিএ বনাম আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের জোটের মধ্যে। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৬ নভেম্বর। ওইদিন ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় মোট ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর। অন্যদিকে, বিধানসভা ভোটের আগে শক্তি বাড়ছে তেজস্বী যাদবের আরজেডি। জেডিইউ-এর প্রাক্তন সাংসদ সন্তোষ কুশওয়াহা, প্রাক্তন বিধায়ক রাহুল শর্মা, প্রাক্তন জেডিইউ সাংসদ গিরিধারী প্রসাদ যাদবের ছেলে চাণক্যপ্রসাদ রঞ্জন এবং এলজেপিআর নেতা অজয় কুশওয়াহা আরজেডিতে যোগ দিয়েছেন।