নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্তকে এনকাউন্টার উত্তরপ্রদেশে

যুবকের বিরুদ্ধে ছিল ধর্ষণের অভিযোগ। দুই নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তিনি। পাশাপাশি একাধিক ফৌজদারি মামলায়ও নাম জড়িয়েছিল তাঁর। সেই কুখ্যাত অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এ বার সেই অভিযুক্তেরই মৃত্যু হল পুলিশের এনকাউন্টারে।

সোমবার উত্তরপ্রদেশের মীরাটে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের অন্যতম কুখ্যাত অপরাধী শাহজাদ ওরফে নিক্কির। প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার গোপন সূত্রে সরুরপুর থানা এলাকায় শাহজাদের লুকিয়ে থাকার খবর পান তদন্তকারীরা। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ সারধানা-বিনোলি সড়কের কাছে তাঁকে দেখতে পান তদন্তকারীরা। পুলিশকে দেখেই শাহজাদ চম্পট দিতে চান। মীরাটের সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) বিপিন তাদা এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, শাহজাদকে পালাতে বারণ করলে উল্টে তিনি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন।

একটি গুলি এক পুলিশকর্মীর বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে গিয়ে লাগে। আত্মরক্ষার জন্য পুলিশও গুলি চালাতে বাধ্য হয়। পুলিশের গুলিতে গুরুতর জখম হন অভিযুক্ত। শাহজাদকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।


মীরাটের মোহাম্মদপুর সাকিস্ত গ্রামের বাসিন্দা শাহজাদের বিরুদ্ধে ৫ ও ৭ বছরের দুই শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য অতীতে পাঁচ বছর জেলও খেটেছেন তিনি। এ ছাড়াও, অন্তত ৭টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাঁর নামে। গত ন’মাস ধরে হন্যে হয়ে তাঁকে খুঁজছিল পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে, যোগীরাজ্যে গণধর্ষণের শিকার দলিত নাবালিকা। ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠে ৫ যুবকের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি নির্যাতিতার বন্ধুকেও বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে রবিবার ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

শনিবার রাতে এক দলিত নাবালিকা তাঁর বন্ধুর সঙ্গে মোটর সাইকেলে দিদির বাড়িতে যাচ্ছিল। সেই সময় ৫ জন যুবক তাঁদের পথ আটকায়। নির্যাতিতার বন্ধুর উপর চড়াও হয় ওই যুবকের দল। কোনও কারণ ছাড়াই সেই বন্ধুকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে। এরপরই টেনে হিঁচড়ে নাবালিকাকে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এর পর অভিযুক্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কোনওক্রমে নির্যাতিতা তাঁর দাদাকে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানায়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার জেরে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘রাতের অন্ধকারে তাঁদের পথ আটকায় ৫ যুবক। নাবালিকার বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর নাবালিকাকে দূরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তাঁরা।’