পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর গুজরাতে লাঠিচার্জ

পরিযায়ী শ্রমিক (Photo by Money SHARMA / AFP)

অর্থমন্ত্রী নির্মল সীতারামন গতকালই বিরোধীদের পরামর্শ দিয়েছিলেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক’দের ফেরতের জন্য পর্যাপ্ত যানবাহনের ব্যবস্থা করতে। পরের দিনই সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতে অপেক্ষারত পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হল।

গুজরাত বিজেপি সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের এতই সুবিধা দিয়েছে যে তারা এক মুহূর্তও আর সেখানে থাকতে না পেরে সড়কে নেমে এসে তাদের অবিলম্বে নিজরাজ্যে ফেরত পাঠানোর আর্জি জানাতে থাকে। কিন্তু গুজরাতের পুলিশ তাদের সেখানে থাকা, খাওয়া বা ফেরতের কোনও ব্যবস্থা না করে কাঁদুনে গ্যাসের ব্যবস্থা দিল। পুলিশের লাঠির ঘায়ে শতাধিক পরিযায়ী শ্রমিক আহত।

পুলিশের দিকে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগে একশোর বেশি শ্রমিককে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনার খবর পেয়েই উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসাররা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যবস্থা করেন।


যুগ্ম পুলিশ কমিশনার অমিত বিশ্বকর্মা জানান, পরিযায়ী শ্রমিকরা লকডাউন শুরু হওয়ার সময় থেকেই তাদের নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা দেওয়ার আর্জি জানিয়ে আসছিল। এমন প্রায় পাঁচশো পরিযায়ী শ্রমিক শ্রমিক কলোনিতে বাস করছিলেন কারণ তারা সকলেই নিকটবর্তী এলাকায় নির্মাণের কাজে যুক্ত ছিলেন।

লকডাউনের ফলে তাদের কাজ ছিল না। তাই সোমবারও তারা নিজরাজ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থার দাবিতে নিকটবর্তী সড়কে জড়ো হতে থাকে। কিন্তু স্থানীয় থানার পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে আসে এবং তাদের ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করে। পুলিশ তাদের শান্ত করতে জানায় প্রশাসনের পক্ষে চেষ্টা করা হচ্ছে তাদের ফেরত পাঠানোর।

কিন্তু শ্রমিকরা পুলিশের এমন একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না করায় এদিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা সড়ক অবরোধ করে। অবরোধ মুক্ত করতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে এবং কাঁদুনে গ্যাসের শেল ফাটায়। পরে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগে কলোনি থেকে একশো জনকে আটক করা হয় বলে বস্ত্রাপুর থানার আধিকারিক এম এম জাদেজা জানান।