১৯৯৮ সালে কোয়েম্বত্তূরে আদবানির সভায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ৫৮ জনের। আহত হয়েছিলেন আরও ২৩১ জন। সেই মামলায় দীর্ঘ ২৭ বছর পর পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ঘটনার মূল চক্রী টেলর রাজা ওরফে সাদিক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সম্প্রতি নতুন করে তাঁর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। শেষমেশ ছত্তিশগড় থেকে ধরা হয়েছে তাঁকে। রাজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোয়েম্বত্তূরে নিয়ে আসছে পুলিশের সন্ত্রাস দমন বিভাগ। ইতিমধ্যে ছত্তিশগড়ে রওনাও হয়ে গিয়েছে পুলিশের একটি দল। রাজার ফেরা নিয়ে কোয়েম্বত্তূর পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ‘দাগি’ অপরাধীকে আনার সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে প্রশাসন। সব থানায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তূরে একের পর এক বিস্ফোরণে বোমার জোগান দিয়েছিলেন এই রাজাই। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীকে হত্যা করা। রাজা মৌলবাদী সংগঠন আল উম্মার সদস্য ছিলেন। ওই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা-সহ ১৭ জন একই মামলায় যাবজ্জীবন জেল খাটছেন।
জানা গিয়েছে, সে সময় আদবানি কোয়েম্বত্তূরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন। যে মঞ্চে তাঁর বক্তৃতা করার কথা ছিল, তার অদূরেই বোমা হামলা চালানো হয়। এর পর একে একে শহরের অন্তত ১৪টি জায়গায় ধারাবাহিকভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। কোয়েম্বত্তূরের এই ঘটনায় সারা দেশে আলোড়ন পড়ে যায়। ভয়াবহ এই হিংসার ঘটনার পর প্রথমে কোয়েম্বত্তূর পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করলেও পরে মামলার গুরুত্ব বুঝে এটি বিশেষ তদন্ত দল (সিট)-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার পর বহু তল্লাশি চালিয়েও ধরা যায়নি বিস্ফোরণের অন্যতম মূল চক্রী এই রাজাকে। অবশেষে ২৭ বছর পর তাঁকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।