ফের আগুন মহাকুম্ভে। শুক্রবার প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। কুম্ভমেলা এলাকার শঙ্করাচার্য মার্গের সেক্টর-১৮-তে এই আগুন লেগেছে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে অনেক তাঁবু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
কুম্ভমেলা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁবুতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রশাসন আশেপাশের অন্যান্য তাঁবুতে বসবাসকারী লোকদের ক্রমাগত বাইরে বেরিয়ে আসার জন্য আবেদন জানায়। বাতাস তীব্রভাবে বইছিল, ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
খাক চক থানার পরিদর্শক যোগেশ চতুর্বেদী বলেন, ‘পুরাতন জিটি রোডের তুলসী চৌরাহার কাছে একটি ক্যাম্পে আগুন লেগেছে। তবে, দমকলকর্মীরা আগুন অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। দমকল বিভাগের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছেন।
এর আগে, ৩০ জানুয়ারী, মহা কুম্ভমেলায় সেক্টর ২২-এর বাইরে চমনগঞ্জ চৌকির কাছে একটি খোলা জায়গায় আগুন লেগে প্রায় ১৫টি তাঁবু পুড়ে যায়। দমকল বিভাগ দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলে। এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রধান অগ্নিনির্বাপক আধিকারিক (কুম্ভ) প্রমোদ শর্মা বলেন, আগুন দ্রুত নিভে যায়। সঠিক রাস্তাঘাটের অভাবে দমকলের গাড়িগুলি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অসুবিধা হচ্ছিল। কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
মহাকুম্ভের সঙ্গম এলাকায় পদদলিত হওয়ার একদিন পর এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জন ভক্ত প্রাণ হারান এবং প্রায় ৬০ জন আহত হন। ২৯ জানুয়ারী সকালে যখন লক্ষ লক্ষ ভক্ত হিন্দু ক্যালেন্ডারের অন্যতম পবিত্র দিন মৌনী অমাবস্যায় পবিত্র স্নান করার জন্য যাচ্ছিলেন, তখন পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। মহাকুম্ভের ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ এই ঘটনার জন্য জনতার চাপকে দায়ী করেছেন।