ধর্মান্তরে রাজি না হওয়ায় বাড়ি ঢুকে এক তরুণীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর জেলার নেপালনগর থানা এলাকার নাওয়ারা গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম ভাগ্যশ্রী নামদেব ধানুক। অভিযোগ, রইস নামে এক যুবক দীর্ঘদিন ধরেই ভাগ্যশ্রীকে ধর্মান্তর ও বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। ভাগ্যশ্রী রাজি না হওয়ায় শনিবার রাতে বাড়িতে ঢুকে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেন রইস। অভিযুক্ত যুবককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুরহানপুরের পুলিশ সুপার অন্তর সিং কানেশ বলেন, ‘অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’ অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিও জানিয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে ভাগ্যশ্রীর গলা কেটে দেওয়া হয়। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে শরীরে একাধিকবার ছুরির কোপও মারেন রইস। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। মৃতের বোন সুভদ্রা বাইয়ের অভিযোগ, ‘রইস ওকে আগেও মেরেছেন, চুল ধরে টেনেছেন। বিয়ের জন্য ও ধর্ম পাল্টানোর জন্য চাপ দিচ্ছিলেন রইস। কিন্তু আমার বোন রাজি হয়নি। তাই রাতে ঘরে ঢুকে ওর গলা কেটে দেয়।’ এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন। পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছে তারা। সংগঠনগুলির দাবি, বিষয়টি নিয়ে ভাগ্যশ্রী কয়েকদিন আগেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তারপরেও পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ তাদের।