সোনম ওয়াংচুকের মুক্তি চেয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি গীতাঞ্জলির। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ছাড়া স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও চিঠি দিয়েছেন সোনম ওয়াংচুকের স্ত্রী গীতাঞ্জলি জে আংমো।
লাদাখে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে সোনম ওয়াংচুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল লে। জেন জির বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয় লাদাখ। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় চার জনের। অশান্তির জন্য সোনমকে দায়ী করে কেন্দ্র। সোনম ওয়াংচুকের উস্কানিতেই গণ্ডগোল হয় বলে দাবি করে গ্রেপ্তার করা হয়। সোনম ওয়াংচুককে পাঠানো হয়েছে যোধপুরের জেলে।
ইতিমধ্যেই সোনম ওয়াংচুকের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর গ্রেপ্তারির ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশাপাশি আরএসএসকেও নিশানা করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা।
রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো চিঠিতে হিমালয়ান ইন্সটিটিউট অব অল্টারনেটিভ লাদাখ সংস্থার প্রধান তথা সোনম ওয়াংচুকের স্ত্রী জানিয়েছেন, এই গ্রেপ্তারিতে তিনি হতাশ। তাঁর দাবি, গ্রেপ্তার না করেই ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-এ আটক করা হয়েছে সোনমকে। কোনও জিনিস না নিয়েই যোধপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে সোনমকে। স্বামীর সঙ্গে তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেন গীতাঞ্জলি।
ওই ঘটনার পর থেকেই তাঁদের সংস্থায় পুলিশ এবং সিআরপিএফ নজরদারি চালাচ্ছে বলে দাবি তাঁর। ওই সংস্থার দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। পরিবেশ, হিমবাহ গলে যাওয়া, শিক্ষার সংস্কার নিয়ে কথা বলা কোনও অন্যায় নয়। গীতাঞ্জলির দাবি, এই নিয়ে সরব হওয়ার জন্যই তাঁর স্বামীকে অন্যায় ভাবে ‘টার্গেট’ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, ওই অঞ্চলে সেনা এবং অন্যদের স্বার্থে একাধিক কাজ করেছেন সোনম ওয়াংচুক। গীতাঞ্জলি বলেন, ‘যে মানুষ লাদাখের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এত কাজ করেছেন তাঁর সঙ্গে এই রকম আচরণ করা শুধু পাপ নয়, তা একটা বড় ভুল।’