করােনা’র টিকা নিয়ে রাজ্যগুলিকে চিঠি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

গােটা বিশ্ব এখন বসে আছে কবে করােনা’র টিকা আসবে তা নিয়ে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠাল টিকাকরণের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে বলে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে মারণ ভাইরাস করােনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সেই থেকেই করােনার টিকা কবে আসবে তা নিয়ে অধীর আগ্রহে বসে আছে বিশ্ববাসী।

চলতি বছরের শেষের দোড়গােড়ায় এসে এখনও কবে টিকা আসবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও টিকা এলে তা বণ্টনে যাতে কোনও খামতি না থাকে, তা নিয়ে। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তারই অঙ্গ হিসেবে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে বিশেষ কমিটি গড়ার নির্দেশ দেওয়া হল।

টিকাকরণ শুরু করতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে ওই কমিটি। শুধু তাই নিয়ে সােশ্যাল মিডিয়ার যুগে করােনা টিকা নিয়ে ভুয়াে খবর ছড়ালে সাধারণ মানুষ তা নিতে উৎসাহ নাও দেখাতে পারেন। সােশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালিয়ে গােড়াতেই যাতে এই ধরনের ভুয়াে খবর সরিয়ে ফেলা যায়, সেই দায়িত্বও সামলাবে ওই কমিটি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পাঠানাে চিঠিতে এমনটাই জানানাে হয়েছে। 


উল্লেখ্য, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ২৫ কোটি ভারতীয়কে করােনার টিকা দেওয়াই লক্ষ্য। অক্টোবরের শুরুতে এমনটাই জানিয়েছিল কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতেই কেন্দ্রের এমন তৎপরতা বলে সূত্রের খবর।

সূত্রের আরও খবর, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। তাতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তিনটি স্তরে কমিটি গড়তে হবে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে থাকবে স্টেট স্টিয়ারিং কমিটি (এসএসসি), অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অথবা প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (স্বাস্থ্য)-র নেতৃত্বে থাকবে স্টেট টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এবং জেলাশাসকের নেতৃত্বে থাকবে ডিস্ট্রিক্ট টাস্ক ফোর্স (ডিটিএফ)। এগুলি গঠন করতে হবে। 

এসএসসি’র দেওয়া শর্তাবলী এক মাসের মধ্যে পূরণ করতে হবে, এসটিএফএ’র নির্দেশাবলী পালন করতে হবে দু’সপ্তাহের মধ্যে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে ডিটিএফ-এর। শর্তাবলী পূরণ করতে হবে। এমনকি চিঠিতে কোন কমিটির কি দায়িত্ব, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে। বলা হয়েছে, প্রত্যেক নাগরিকের কাছে করােনা টিকা পৌঁছেছে কিনা, টিকা বনটনের দায়িত্বে থাকা সমস্ত বিভাগ সক্রিয়ভাবে টিকাকরণে অংশ নিচ্ছে কিনা এবং সমস্ত গােষ্ঠী এবং সম্প্রদায়ের মানুষ সমানভাবে টিকা গ্রহণে অংশ নিচ্ছেন কিনা, তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব এসএসসি’র।

টিকাকরণের জন্য বরাদ্দ অর্থের সঠিক বণ্টন হচ্ছে কিনা, তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় টিকা পৌঁছচ্ছে কিনা, দেখার দায়িত্ব এসটিএফ-এর। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে টিকা প্রয়ােগকারীদের শনাক্ত করার দায়িত্বও তাদের। শুধু তাই নয়, প্রথম দফায় যে শুধু স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরই টিকা প্রয়ােগ করা হবে, তা পরিকল্পনার দায়িত্ব এসটিএফ-এর । এছাড়াও টিকাকরণের জন্য যে জায়গা ঠিক করা হবে, সেখানে যাতে কেনও রকম ঝামেলা না বাধে, অযথা ভিড় না জমে, তা দেখভালের দায়িত্বও এসটিএফ-এর।