কংগ্রেসের থেকে এগিয়ে বামেরা

বিহারের ভোট গণনায়  শেষ পাওয়া তথ্য অনুসারে, বিহারে বিজেপি, জেডিইউ, এলজেপি-সহ এনডিএ জোট মোট ১৮৮টি আসনে এগিয়ে। এর মধ্যে বিজেপি ৮৪টি, জেডিইউ ৭৭টি, এলজেপি ২২, হামস ৫ এবং আরএলএম ২ আসনে এগিয়ে রয়েছে।

অন্যদিকে, মহাগঠবন্ধন এগিয়ে রয়েছে ৫১টি আসনে। তার মধ্যে আরজেডি ৩৫, সিপিআই(এমএল) ৭, কংগ্রেস ৫ এবং ভিআইপি ও সিপিআই(এম) – দুটি দলই একটি করে আসনে লড়াইয়ে এগিয়ে। অর্থাৎ, মহাজোটে কংগ্রেসের চেয়ে এগিয়ে বামেরা।

বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই খোঁচা দিতে শুরু করেছে বিজেপি। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেছেন, আরও একবার ভোট, আরও একবার হার এই শব্দবন্ধই রাহুল গান্ধীর নামের সঙ্গে সেঁটে গেছে। যদিও কোনও এক্সিট পোলই কংগ্রেসকে বিরাট কোনও জায়গায় রাখেনি। অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া বলেছিল কংগ্রেস ১৭–২১ আসন পেতে পারে। টুডেজ চাণক্যর সমীক্ষা জানিয়েছিল, ৬ থেকে ৩ আসন পেতে পারে অন্যান্যরা। তার মধ্যেই ধরা হয়েছিল কংগ্রেসকে।


এদিকে দেখা যাচ্ছে, বিহারে অমিত শাহের দেওয়া পূর্বাভাসও পিছনে ফেলে আরও বড় জয়ের দিকে ধেয়ে চলেছে এনডিএ। ভোটের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এনডিএ ‘১৬০টির বেশি আসন’ পেতে চলেছে। কিন্তু গণনার ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে, জোট পৌঁছে গিয়েছে ১৮৬ আসনে।

তবে জিতলেও যে নীতীশ কুমার ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ বিহার নির্বাচনের আগে কৌশলগত ভাবে বিজেপি কোনওভাবেই বলতে চায়নি যে পুনরায় জোটের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী নীতীশ কুমারই। নরেন্দ্র মোদী তো নয়ই, অমিত শাহকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কখনওই সোজা সাপ্টা উত্তর দেননি। খুব পীড়াপীড়ি করলে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদে কোনও ভ্যাকেন্সি নেই।