প্রয়াত মিঠুনের প্রথম স্ত্রী হেলেনা

হেলেনা লুক। ফাইল চিত্র

প্রয়াত হলেন মিঠুন চক্রবর্তীর প্রথম স্ত্রী হেলেনা লিউক। রবিবার আমেরিকায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা গিয়েছে, কোনও এক অজানা অসুখে ভুগছিলেন তিনি। তার জেরেই হেলেনার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। হেলেনার মৃত্যুর পর তাঁর পুরনো একটি সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়। এই সাক্ষাৎকারেই তিনি মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর বিবাহিত জীবনের তীক্ত অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে আনেন। হেলেনার মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন নৃত্যশিল্পী তথা অভিনেত্রী কল্পনা আইয়ার।
দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় থাকছিলেন হেলেনা। তিনি বলিউড থেকে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে মর্দ ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সেখানে তিনি এক ব্রিটিশ রানির ভুমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এর পাশাপাশি দো গুলাব (১৯৮৩), আও প্যায়ার কারে (১৯৮৩), ভাই আখির ভাই হোতা হ্যায় (১৯৮২) ইত্যাদি ছবিতেও তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। তিনি ডেলটা এয়ারলাইনসের হয়েও কাজ করেছেন।
মৃত্যুর দিন অর্থাৎ রবিবার রাত ৯ টা ২০ মিনিট নাগাদ ফেসবুকে হেলেনা শেষবারের জন্য লেখেন, কীরকম একটা অস্বস্তি অনূভূতি হচ্ছে, জানি না হঠাৎ এমন কেন লাগছে। খুবই ভারাক্রান্ত ও কনফিউজড লাগছে।
১৯৭৯ সালে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে হেলেনার বিয়ে হয়। প্রথম প্রথম সবকিছু ঠিক থাকলেও পরে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে বলে একটি সাক্ষাৎকারে জানান হেলেনা। বিয়ের মাত্র ৪ মাসের মাথায় তাঁদের ডিভোর্স হয়ে যায়। সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানিয়েছিলেন, মিঠুনের সঙ্গে বিয়েটা দুঃস্বপ্ন ছিল! তিনি বিয়ের আগে অভিনেতাকে এক রকমভাবে চিনেছিলেন। এক ছাদের নীচে বসবাসের সময় তাঁর ভিন্ন রূপ দেখেন, যা তাঁর কাছে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।
হেলেনার কথায়, ‘মিঠুন অত্যন্ত অপরিণত-মনস্ক ছিলেন। তার তুলনায় বয়েসে ছোট আমি অনেক পরিণত ছিলাম। মিঠুন বুঝিয়েছিল, আমার জীবনে ও-ই একমাত্র পুরুষ। যাকে আদর্শ পুরুষ বলে। আমি সে কথা বিশ্বাস করেছিলাম। সেটাই ছিল আমার মস্ত ভুল।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘মিঠুন বলত, ও নাকি শুধুই আমাকে ভালবাসে। আমার অভিজ্ঞতা বলছে, মিঠুন নিজেকে ছাড়া কোনও দিন কাউকে ভালবাসতেই পারে না।’ জানা গিয়েছিল, মিঠুন হেলেনাকে সন্দেহ করতেন। এই কারণেও তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হতো।