ভারতীয় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে শনিবার মধ্যরাতে ড্রোন হামলার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, ‘জম্মুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে গভীর রাতে হামলায় পাক জঙ্গি সংস্থা লস্কর-ই-তৈবার যােগ রয়েছে’।
শুধু তাই নয়, এই হামলার সঙ্গে লস্কর জঙ্গির কাছ থেকে ৬ কিলােগ্রাম আইইডি উদ্ধারের যােগসূত্র রয়েছে। ওই ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। তবে ড্রোন হামলা নিয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলাে মুখে কুলুপ এঁটেছে, যা স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করছে পাকিস্তানের জঙ্গি গােষ্ঠী ড্রোন দিয়ে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার ও ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার ঘাঁটি বা র্যাডারে হামলা চালানাের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তান দীর্ঘদিন অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন না করলেও ড্রোন মারফত অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাঠাচ্ছিল, যা নিয়ে বিএসএস আধিকারিকা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।
সিনিয়র সিকিউরিটি আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘দুটো আইইডি’র ওজন ৫ ৬ কেজি। এটিসি থেকে ৪০ ইয়ার্ড দূরত্বে একটি আরডিএক্স ফেলা হয়েছে। আরেকটি হেলিকপ্টার বেস থেকে ৪০ ইয়ার্ড দূরে পড়েছিল। নিশানা ভুল হওয়া বা জোরে বাতাসের কারণে নিশানা ভ্রষ্ট হয়েছিল।
জম্মু বিমানবন্দর থেকে ১৪.৫ কিলােমিটার দূরে ড্রোন দুটো সীমান্তের ওপার থেকে উড়েছিল। হামলা চালানাের পর ফের তারা সীমান্তের ওপারে ফিরে যায়। সন্দেহ করা হচ্ছে, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি চালিত ড্রোন দুটো ১.২ কিলােমিটার উঁচু দিয়ে উড়েছিল।
শীর্ষ নিরাপত্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি বিঘ্নিত করতে লস্কর ও জইশ জঙ্গিরা উপত্যকায় রয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে ড্রোন দমনকারী জ্যামার প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা করছে। এনআইএ সহ একাধিক নিরাপত্তা সংস্থাগুলি তদন্তে যােগ দিয়েছে। জম্মু কাশ্মীরের ডিজি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, দুটো বিস্ফোরণই জঙ্গি হামলার অংশ।
ভারতীয় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে দুটো বিস্ফোরণের ঘটনায় দু’জন বায়ুসেনা আধিকারিক জখম হয়েছেন। বাড়িটির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর প্রথম ড্রোন নিয়ে হামলা চালানাে হল। ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।