উত্তরাখণ্ডে ব্যাপক বৃষ্টিতে ভূমিধস, ফুলে উঠছে নদী, আরও দুর্যোগের পূর্বাভাস

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

বুধবার থেকে বড় ধরনের দুর্যোগের কবলে পড়েছে উত্তরাখণ্ডের কয়েকটি জেলা। প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমে বন্ধ রয়েছে গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়ক। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে চিন সীমান্তের কয়েকটি অঞ্চল। গঙ্গা বইছে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। গঙ্গার শাখানদী গেলওয়ানের জলস্তরও বেড়েছে। নদীর ধারে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সারদা নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় চামপাওয়াত জলার সারদা বাঁধেও বেড়েছে জল। ব্যারেজ ম্যানেজমেন্ট দফতরের এক অফিসার বলেছেন, আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। নদীর জল যেভাবে বেড়েছে তাতে উত্তরাখণ্ডের দুটি ও উত্তরপ্রদেশের ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করা হয়েছে।

আবহবিদরা বলেছেন আগামী দু-তিন দিন আরও প্রবল বৃষ্টির কবলে পড়তে পারে উত্তরাখণ্ড। তাতে কয়েকটি পাহাড়ি নদীতে হড়পা বানও দেখা যেতে পারে। কেন্দ্রীয় জল কমিশন একটি টুইটে বলেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থানের পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে হড়পা বান দেখা যেতে পারে। উত্তরাখণ্ড বাদে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশেও আগামী ২-৩ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর থেকে সতর্ক করা হয়েছে।


কিছুদিন আগেই ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিল বিহার। তার রেশ কাটেনি এখনও। সেখানে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৪ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৭৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ। এখনও জলমগ্ন রয়েছে ১৬ টি জেলা। দ্বারভাঙা, মুজফ্ফরপুর, সীতামারি, সুপাল, কৃষ্ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণ ও সিয়ান জেলায় বন্যায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।