এয়ার এম্বুল্যান্সে দিল্লিতে লালুপ্রসাদ

শারীরিক অসুস্থতা গুরুতর রাষ্ট্রীয় জনতা দল সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের। গত রবিবার পাটনার সার্কুলার রোডের বাড়িতে পড়ে গিয়ে ডান কাঁধের হাড় ভেঙেছে বর্ষীয়ান এই নেতার। সঙ্গে রয়েছে একাধিক জটিলতা।

দিল্লিতে নিয়ে যাবার পথে লালু প্রসাদ (Photo: IANS)

দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন আরজেডি সুপ্রিমো। সেই সঙ্গে হাড় ভাঙায় জটিলতা বেড়েছে। সেই কারণেই সোমবার তড়িঘড়ি করে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।

নিউমোনিয়া এবং কিডনির সমস্যাতেও ভুগছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যবেক্ষণের জন্য তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। আপাতত তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে।


উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও গত মঙ্গলবার রাতে আরজেডির তরফে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু জটিলতা থাকলেও প্রবীণ নেতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীলই রয়েছে।

তবে তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য লালুকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এই অবস্থায় সেটা করা হচ্ছে না। দিল্লির চিকিৎসকরা যা পরামর্শ দেবেন, সেটাই মেনে চলা হবে।

বুধবার লালুকে দিল্লিতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বেশ কিছুক্ষণ পাটনার বেসরকারি হাসপাতালে ছিলেন নীতীশ।

লালুকে দেখে আসার পর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘হাসপাতালে ভরতি হওয়ার সময় যা পরিস্থিতি, তার থেকে ভাল আছেন লালু। আমি ওর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’

বস্তুত নীতীশ এবং লালুর রাজনৈতিক জীবন চলেছে সমান্তরাল ভাবে। সেই তরুণ বয়স থেকেই রাজনীতিতে দুই মেরুতে অবস্থান করেছেন বিহারের দুই নেতা। কিন্তু তাতে ব্যক্তিগত ম্পর্কে ব্যাঘাত ঘটেনি। লালুর চিকিৎসার খরচও নিয়ম অনুযায়ী বিহার সরকারই দিচ্ছে।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লালুপ্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদবকে ফোন করে আরজেডি সুপ্রিমোর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।