জোট সরকার বাঁচাতে মরিয়া কুমারস্বামী

এইচ ডি কুমারস্বামী (File Photo: IANS)

রাজ্যের এক মন্ত্রীর সহ দুই বিধায়কের ইস্তফায় কর্নাটক সারের ওপর প্রকট হচ্ছে সরকার পড়ার সংস্কট। নির্দল বিধায়ক থেকে রাজ্যের মন্ত্ৰী নাগেশ সহ আরও ২ জন ইস্তফা দিয়েছে আজ। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের সৌমা রেড্ডি, যিনি প্রাক্তন মন্ত্রী রামালিঙ্গা রেড্ডির কন্যা। যদি তিন জনের ইস্তফা গ্রহণযােগ্য হয় তাহলে জনতা দল (সেকুলার) এবং কংগ্রেসের জোট সরকারের পতন অনিবার্য।

শনিবারই রাজ্যের ১৩ জন বিধায়ক অধ্যক্ষ রমেশ কুমারের হাতে ইস্তফাপত্র দেওয়ার জন্য বিধানসভায় যান, কিন্তু অধ্যক্ষ না থাকায় সচিবের হাতে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে আসেন বিক্ষুব্ধরা। মঙ্গলবার অধ্যক্ষ ১৩ জন বিধায়কের ইস্তফাপত্র খতিয়ে দেখবেন বলে জানা গেছে।

সরকার বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। রবিবারই আমেরিকা থেকে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় জায়গা করে দিয়ে মন ফেরানাের চেষ্টা চলছে।


জোট সরকারের বেশিরভাগই মন্ত্রী ইস্তফা দেওয়ায় সরকার পড়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে কুমারস্বামী শীঘ্রই মন্ত্রিসভা গঠনে আশ্বাস দিয়েছেন। সােমবার দুপুরে কুমারস্বামী টুইটে জানিয়েছেন তাঁর নেতৃত্বে শীঘ্রই নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে।

সােমবার সকালে প্রথমে কংগ্রেসের ২১ জন মন্ত্রী ইস্তফা দেন। সরকার বাঁচাতে এই মন্ত্রীরা গণইস্তফা দিয়েছেন। কংগ্রেসের উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরও ইস্তফা দিয়েছেন পদ থেকে। পরমেশ্বর জানিয়েছিলেন, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে হলে তাঁরা ইস্তফা দিতে সকলেই প্রস্তুত রয়েছেন। এদিন ইস্তফা দেন জেডি (এস)-এর মন্ত্রীরাও।

দক্ষিণের রাজ্য ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জেডি (এস) এবং কংগ্রেস জোট। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ঠেকাতে সােমবার রাতে দিল্লিতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসছেন। কংগ্রেসের মতাে এই সঙ্কট কাটাতে দলের বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বােঝাবার চেষ্টা করবে জেডি (এস) শীর্ষ নেতৃত্ব।

বিজেপি ঘােড়া কেনাবেচা করতে পারে, এই আশঙ্কা করেই বিধায়কদের হােটেল বন্দি করার চেষ্ট করা হচ্ছে।

সােমবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগােপাল। তিনি জানিয়েছেন, ‘যেসব বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছে আশা করবাে তাঁরা দলকে মজবুত করতে ফিরে আসবেন। এই সঙ্কট অবস্থায় দলের পাশে থাকবেন’।