সিদ্দারামাইয়া-শিবকুমারকে খাড়গের তলব দিল্লিতে

কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার।

এবার আসরে নামল কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব। লক্ষ্য কর্নাটকের নেতৃত্ব সংকট মেটানো। হাত শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিবাদে জড়িয়ে পড়া দুই নেতাকেই দিল্লিতে ডেকেছিলেন। পাশাপাশি কর্নাটকের আরও জয়েকজন প্রথম সারির নেতাকে তলব করেছেন খাড়গে। অনুমান করা হচ্ছে, রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধী। ওই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ডিকে শিবকুমার এখন কিছুটা হলেও এগিয়ে।

আগামী ১ ডিসেম্বর শীতকালীন অধিবেশন। সূত্রের খবর, এই অধিবেশন শুরুর আগেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে রদবদলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিছুদিন আগে উপমুখ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার শিবকুমারকে এই ইস্যুতে বিশেষ বার্তা দিয়েচ্ছিলেন খোদ রাহুল গান্ধী। এদিকে এক কংগ্রেস বিধায়ক দাবি করেছেন, শিবকুমারই যে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন সে বিষয়ে তিনি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত।

কংগ্রেস সূত্রে খবর, গত এক সপ্তাহ ধরে দলীয় বিষয়ে কথা বলার জন্য বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন ডিকে শিবকুমার। যদিও রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তাঁর। এই আবহে রাহুল গান্ধী শিবকুমারের ফোনে ছোট্ট একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠিয়েছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে সেখানে লেখা, ‘অপেক্ষা করুন, আমি আপনাকে দ্রুতই ফোন করছি।’


কর্নাটকে রাজনৈতিক গণ্ডোগোলের মাঝে শিবকুমারকে লেখা রাহুলের এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ১ ডিসেম্বর লোকসভা অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে চলতে থাকা সমস্যা মেটাবে দিল্লির নেতৃত্ব। তাঁরই আভাস দেওয়া হয়েছে শিবকুমারকে।

অন্যদিকে নেতৃত্ব নিয়ে ডামাডোলের মধ্যে সিদ্ধারামাইয়াও চাপ বাড়িয়েছেন দিল্লির শীর্ষ নেতাদের উপর। তিনি দলের শীর্ষ নেতাদের বলে দিয়েছেন, নেতৃত্ব নিয়ে এই টানাপোড়েনে আসলে ক্ষতি হচ্ছে কংগ্রেসের। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে শীর্ষ নেতৃত্বকে। তারপরই আসরে নেমেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, দুই নেতার সঙ্গে আলোচনা না করে কোনওভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।