এসআইআর প্রক্রিয়া অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হচ্ছে, এমন আপত্তি জানিয়ে আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ু। এবার একই আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে অবিজেপিশাসিত রাজ্য কেরল। এসআইআর-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে কেরল সরকার বলেছে, এই প্রক্রিয়া যেভাবে করা হচ্ছে তা দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে অনুকূল নয়। নির্বাচনের পাশাপাশি এসআইআর চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে প্রশাসনিক অচলাবস্থা তৈরি হবে। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরে দুই দফায়, ৯ এবং ১১ ডিসেম্বর পুর ও পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে কেরলে। গণনা ১২ ডিসেম্বর। গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হবে ১৮ ডিসেম্বর। সেজন্য কেরল সরকারের অনুরোধ, নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত এসআইআর-এর কাজ পিছিয়ে দেওয়া হোক।
কেরল সরকার জানিয়েছে, কেরলে ২৩ হাজার ৬১২টি ওয়ার্ড-সহ ১ হাজার ২০০টি লোকাল বডি রয়েছে। রাজ্যের স্থানীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৬৮ হাজার নিরাপত্তাকর্মী প্রয়োজন। এছাড়াও ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কর্মী প্রয়োজন। এসআইআর-এর কাজের জন্য প্রয়োজন হবে আরও ২৫ হাজার ৬৬৮ জন কর্মীর। এই দুই প্রক্রিয়া সমান্তরালভালে চললে প্রশাসনিক কাজকর্মের ওপর প্রবল চাপ আসবে এবং সেক্ষেত্রে দৈনন্দিনের প্রশাসনিক কাজকর্মে অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে। কেরল রাজ্যের মুখ্য সচিবের মাধ্যমে দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছে, ‘কেরল রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, অর্থাত ২০২৫-এর সাধারণ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ জারি করা হোক।’
কেরল সরকার আরও জানিয়েছে, এর আগেও এসআইআর প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার জন্য গত ৫ নভেম্বর সরকারের তরফে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই চিঠির কোনও জবাব মেলেনি।
এর আগে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ তথা আইইউএমএল কেরলে এসআইআর বন্ধ করার জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। তারাও বলে যে, এটি স্থানীয় নির্বাচনের সঙ্গে একযোগে পরিচালনা করা যাবে না।
এসআইআর প্রক্রিয়ায় আপত্তি জানিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ু সরকার। এবার কেরল সরকারও এই প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানাল।