কেউ নাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, মোদির টিকা-নীতি নাগরিকের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে

প্রতীকী ছবি (Photo: SNS)

১০০ কোটি ভ্যাকসিনের মাইলফলক ছুঁয়ে খুশি আম নাগরিক থেকে সরকার। কিন্তু মোদি সরকারের এই ভ্যাকসিন প্রকল্পই ভারতের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। শুনতে অবাক লাগলেও মঙ্গলবার এমনই এক পর্যবেক্ষণের কথা শোনালো কেৱল হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্যাকসিন প্রকল্প দেশের নাগরিককে দু’ভাবে বিভক্ত করেছে।

কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড, দুই ভ্যাকসিন গ্রাহকদের দু’ভাগে ভআগ করেছে কোভিশিল্ড প্রাপকরা সহজেই বিশ্বের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার সুবিধআ পেলেও কোভ্যাক্সিন প্রাপকদের ক্ষেক্ষে সর্বত্র যাওয়ার ছাড়পত্র মেলেন । তাতেই সমস্যায় পড়েছেন। অনেক ভ্যাকসিন প্রাপক।

প্রসঙ্গত এ বিষয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও একাধিকবার দিল্লির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এমনই এক মামলার শুনানি চলে কেল হাইকোর্টে। কোভ্যাক্সিন প্রাপক এক ব্যক্তি তৃতীয় ডোজের আবেদন জানায় আদালতে। কারণ কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ নেওয়া সত্ত্বেও তিনি দেশের বাইরে যেতে পারছেন না তাই তৃতীয় কোনও ডোজ নিয়ে সেই ছাড়পত্র পেতেই মামলা করেন তিনি।


সেই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি পিভি কুনহিকৃষ্ণানের পর্যবেক্ষণেই উঠে আসে এমন মন্তব্য। প্রসঙ্গত উক্ত ব্যক্তি সৌদি আরবেওয়েল্ডারের চাকরি পেয়েও যেতে পারছেন না। কারণ কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ নেওয়া থাকলেও উপসাগরীয় দেশগুলিতে তা অনুমোদিত নয়।

এই পরিস্থিতিতে তিনি চাকরি হারাতে বসেছেন। তাই তৃতীয় কোনও ডোজ নেওয়া যায় কিনা, সেই আবেদনই জানান আদালতে। আদালতের কথায়, সরকার পরিচালিত টিকাকরণ প্রকল্পের কারণে দেশে এখন দু’ধরনের নাগরিক রয়েছেন। এক যাঁরা কোভ্যাক্সিন পেয়েছেন, এবং দুই, যারা কোভিশিল্ড পেয়েছেন।

প্রথম ক্ষেত্রের প্রাপকদের ক্ষেত্রে চলাচলে কিছু নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দ্বিতীয় ক্ষেত্রের প্রাপকদের সেই অসুবিধা ভোগ করতে হয় না। এমনকী এর জন্য আবেদনকারী বা দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে বলেও মত আদালতের। যদিও মামলাকারীকে তৃতীয় ডোজের অনুমতি দেয়নি আদালত।

তবে কেন্দ্রকে এক মাসের মধ্যে মামলাকারীর অভিযোগের প্রতিকার করার নির্দেশ দিয়েছে। আরও জানিয়েছে, কেন্দ্র যদি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আরও সময় নেয়, তাহলে বিদেশে কাজ করার সময় যে পরিমাণ বেতন পাওয়ার সুযোগ ছিল, তা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, সরকার আগস্ট মাসে জানিয়েছিল , কোভিড ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ পরিচালনার ক্ষেত্রে ট্রায়াল চলছে।