দিল্লির স্টেডিয়ামকে জেলে পরিণত করার কেন্দ্রীয় প্রস্তাব খারিজ কেজরিওয়ালের

অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Photo: Twitter / @AamAadmiParty)

দিল্লির স্টেডিয়ামে জেল করা নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল । সম্প্রতি দিল্লি পুলিশ প্রস্তাব দেন দিল্লির ৯ টি স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী জেলখানা হিসেবে ব্যহার করার জন্য। শুক্রবার তা খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি সরকার। 

প্রসঙ্গত, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী কৃষকদের গ্রেফতার করে আটকে রাখার উদ্দেশ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশ স্টেডিয়ামগুলিকে অস্থায়ী জেল হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল। যদিও কেজরিওয়ালের আপ সরকার এদিন জানিয়েছে, আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি ন্যায্য। তাই তাঁদের আটক রাখার জন্য কোনও ক্রীড়াঙ্গন বা অন্য কোনও রাজ্য সরকারি পরিকাঠামাে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। 

উল্লেখ্য, নয়া কৃষি আইনের বিরােধিতা করে আন্দোলনকারী কৃষকদের ‘দিল্লি চলাে’ অভিযান বানচাল করার জন্য এদিন সকাল থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। আন্দোলনকারীদের দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় আটকে রাখার জন্য এদিন সকাল থেকেই বিশাল বাহিনী মােতায়েন করা হয়। ব্যারিকেড তৈরি, লাঠি চালানাের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয় কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান। কিন্তু দিল্লি যাওয়ার বিষয়ে অনড় কৃষকদের শেষ পর্যন্ত আটকানাে সম্ভব হয়নি পুলিশের পক্ষে। 


এই পরিস্থিতিতে কয়েক হাজার কৃষককে গ্রেফতার করে অস্থায়ী জেলে পাঠানাের পরিকল্পনা করেছিল পুলিশ। আন্দোলনকারীদের রাখার জন্য তাই দিল্লির স্টেডিয়ামগুলিকে অস্থায়ী জেলখানা হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল দিল্লি সরকারের কাছে। সেই প্রস্তাবই এদিন খারিজ করা হয়। দিল্লির বিধায়ক তথা ‘আপ’ মুখপাত্র রাঘব চাড্ডা এদিন সকালে টুইটারে লেখেন, ‘রাজ্যের স্টেডিয়ামগুলিকে অস্থায়ী জেল হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ার জন্য আমি দিল্লি সরকারকে অনুরােধ জানাচ্ছি। আমাদের দেশের কৃষকেরা দুষ্কৃতী বা সন্ত্রাসবাদী নন। ভারতীয় সংবিধানের ১৯ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার একটি উদার এবং গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য।’ এরপরেই সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়।