জুলাই থেকে প্রতি রবিবার কর্ণাটকে হবে টোটাল লকডাউন, বদলানো হল রাত কার্ফুর সময়ও

বি এস ইয়েদুরাপ্পা (File Photo: IANS)

আনলক ফেজ ওয়ান শুরু হওয়ার পর থেকে সংক্রমণ কমা তো দূরে থাক, দিন দিন তা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ মোকাবিলায় নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কর্ণাটক সরকার। ইয়েদুরাপ্পা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, জুলাই মাস থেকে প্রতি রবিবার টোটাল লকডাউন করা হবে সে রাজ্যে। সেই সঙ্গে রাতের কার্ফুর সময়ও বদল করা হচ্ছে।

শনিবারের বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। আগামী ৫ জুলাই থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। রবিবার শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে। এছাড়া আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে রাতের কার্ফুরও সময় বদল করা হচ্ছে। কর্ণাটকে আগে কেন্দ্রের নিয়ম মেনে রাত ন’টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নাইট কার্ফু চলত।

কিন্তু এবার রাত আটটা থেকে রাতের কার্ফু শুরু হবে। ভোর পাঁচটা পর্যন্তই তা চলবে। জানানো হয়েছে, জুলাই মাস থেকে প্রতিটি সরকারি অফিসে অফিসে সপ্তাহে পাঁচদিন করে কাজ হবে। শনিবারকে ছুটির দিন ধরা হবে। বেসরকারি অফিসগুলিতেও এই নিয়ম চালু করার কথা বলা হয়েছে।


শনিবার কর্ণাটকে নতুন করে ১৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। শুধুমাত্র বেঙ্গালুরুতেই একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯৬ জন। একদিনে আক্রান্তের নিরিখে সর্বাধিক বৃদ্ধি ঘটেছে শনিবার। এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১১৯২৩। মৃত্যু হয়েছে ১৯১ জনের। ৭২৮৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতর।

বেঙ্গালুরু মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যজুড়ে আরও সব্জি ও মুদিখানার দোকান বাড়ানো হচ্ছে। সরকারের তরফে ওই দোকানগুলি খোলা হবে। এতে একটি দোকানে ভিড় খানিকটা কমবে।

এছাড়াও স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালে কত বেড রয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য বাসিন্দাদের দেওয়ার জন্য একটি নতুন সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বাড়িয়ে ২৫০ করা হয়েছে। করোনার মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য আলাদা অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে রাজ্যের ৮’টি প্রদেশের জয়েন্ট কমিশনারদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে এই বিষয়ে নজর দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে কর্ণাটক অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের অফিসাররা তাদের সাহায্য করবেন। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, বেঙ্গালুরুর সব বিয়ের হল, হস্টেল ও অন্যান্য হলগুলিকে কোভিড ১৯ কেয়ার সেন্টারে পরিণত করতে। সেই সঙ্গে রেলের কামরাও ব্যবহার করার কথা বলেছেন।