ইন্দিরা-বাজপেয়ী জমানার তুলনা টেনে বিশেষ অধিবেশনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কাকলি ও সাগরিকার

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে মঙ্গলবারই দিল্লিতে সংসদের সেন্ট্রাল হলে বিশেষ বৈঠকে মিলিত হয়ে সংসদের উভয় কক্ষে বিশেষ অধিবেশনের দাবি করেছিলেন তৃণমূলের সাংসদগণ। কেন সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই অধিবেশন প্রয়োজন, বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। আর তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের তুলনা টানলেন তাঁরা।

এ বিষয়ে সাংসদ কাকলির ব্যাখ্যা, ‘পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী সময়ে ধারাবাহিকভাবে সরকারের সমস্ত পদক্ষেপ দেশবাসীর জানা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের ঐক্য বোঝাতে কেন্দ্রের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের বিদেশ সফর চলছে। দেশের অন্দরেও সেই ঐক্যের বার্তা দেওয়া অবশ্যম্ভাবী। সংসদের বিশেষ অধিবেশন সেই কাজ করতে পারে। ১৯৭১-এ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধী এবং তার পরবর্তীতে ২০০১-এ অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার এভাবেই বিশেষ অধিবেশন ডেকেছিল। এবারও মোদি সরকারের কাছে সেই আবেদন জানাচ্ছে তৃণমূল।’

সময়সীমা জানিয়ে কাকলি আরও বলেন, ‘তবে জুলাইয়ে বাদল অধিবেশনের সময় নয়, তার আগে বিদেশ থেকে প্রতিনিধি দল ফিরলে জুন মাসেই বিশেষ অধিবেশন চাইছি আমরা।’


রাজ্যসভার সাংসদ ও উপ দলনেতা সাগরিকা ঘোষের বক্তব্য, ‘পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর বাড়বড়ন্ত শুধু ভারতে নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের শিকড় ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা নিজেরা গিয়ে কাশ্মীরের রাজৌরি, পুঞ্চের পরিস্থিতি দেখেছি। কী যে ভয়াবহ অবস্থা! বিদেশের প্রতিনিধি দলে আমরা অন্য কাউকে নয়, আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই পাঠিয়েছি। তিনি নানা দেশ ঘুরে ভারতের একতার ছবিটা তুলে ধরছেন। তাঁরা ফিরলেই আমরা বিশেষ অধিবেশন চাই, যেখানে রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে সকলে এক সুরে দেশের হয়ে কথা বলবেন। কীভাবে সন্ত্রাসী হামলা ঘটল, হামলাকারী জঙ্গিরা এখন কোথায়– এ সবের ব্যাখ্যাও কেন্দ্রকে দিতে হবে।’