জেএনইউ’তে ফি বৃদ্ধির সমস্যা মিটেছে, এখন আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই, বললেন মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পােখরিয়াল। (Photo: IANS/PIB)

জেএনইউ’র ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন আন্দোলনের কোনও যৌক্তিকতা নেই, দাবি করেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পােখরিয়াল নিঃশঙ্ক। এই বিষয়ে মন্ত্রীর এক বিবৃতি উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, জেএনইউ’র সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।

মন্ত্রকের তরফে একটা উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন শুরুতে ভূমিকা নেবে। ওই বিবৃতিতে আরও দাবি, পড়ুয়াদের তরফে বলা হয়েছিল পরিষেবা ও পরিচর্যাগত ফি বৃদ্ধি পর্যালােচনা করে দেখা হােক। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেই ফি পড়ুয়াদের বহন করতে হবে না। ফলে আর পড়ুয়া আন্দোলনের কোনও যৌক্তিকতা নেই।

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী পােখরিয়ালের দাবি, ডিসেম্বরের ১০ আর ১১ তারিখ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ছাত্র ও অশিক্ষক কর্মীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবের দীর্ঘ আলােচনা হয়েছে। সেই আলােচনার সূত্র ধরে সবপক্ষ রাজি হয়েছে হস্টেলের পরিবর্তিত ফি চালু হবে না। দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী পড়ুয়াদের ৫০ শতাংশ হস্টেল ফি মন্ত্রকই বহন করবে।


এদিকে সােমবার সকালে অধ্যাপক সমিতির এক প্রতিনিধি দল মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অভিযােগ করেছিলেন, ক্যাম্পাসকে তারা নিরাপদ মনে করছেন না। ৫ জানুয়ারির ঘটনার পর যাঁরা ক্যাম্পাস ছেড়েছিলেন তারাও ফিরে আসতে ভয় পাচ্ছে। এই পরিবেশ পঠন-পাঠনের উপযুক্ত নয়।

এদিকে দিল্লি পুলিশ এদিন ওই হিংসার ঘটনার সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘােষও। উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি রাতে প্রায় শতখানেক মুখােশধারী আচমকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল। ওই হামলায় আহত হয়েছিলেন জেএনইউ’র ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘােষ।