সন্ত্রাস রোখার প্রয়োজন ছিল, চিনের বিদেশমন্ত্রীকে বার্তা ডোভালের

পহেলগাম কাণ্ডের পর সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার প্রয়োজন ছিল। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-কে জানালেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। একই সঙ্গে তাঁর সাফ কথা, ‘ভারত যুদ্ধ চায় না।’ ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে ‘মধ্যস্থতা’ করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন ওয়াং। তিনি জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তান কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নেবে। স্থায়ী যুদ্ধবিরতির চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না।

বেশ কয়েকদিন ধরে গোলাগুলি চলার পর ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় শনিবার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম এই ঘোষণা করেন। পরে দুই দেশের সরকারের তরফেও সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়। যদিও ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান মুখে সংঘর্ষবিরতির কথা বললেও তারা হামলা থামায়নি। এর পাল্টা নয়াদিল্লির দিকে আঙুল তুলেছে ইসলামাবাদ। ঠিক হয়েছে, সোমবার দুপুর ১২টার সময় ভারত ও পাকিস্তান আলোচনায় বসবে। সেই আলোচনা অবধি স্থল, জল এবং আকাশপথে জারি থাকবে অস্ত্রবিরতি।

এহেন পরিস্থিতিতে ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে কথা বলে চিন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে কথা বলেছেন ওয়াং ই। ভারতের যুদ্ধ না চাওয়ার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ওয়াং। এর পাশাপাশি ইসলামাবাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে বেজিং। ওয়াং জানান, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা রক্ষায় তাদের পাশে আছে চিন। চিনের এই নীতিকে অনেকে অনেকে ‘দু-মুখো’ বলেও কটাক্ষ করেছেন।


প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। ভারত এই জঙ্গি হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ ইসলামাবাদ। ইতিমধ্যেই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। তার পর থেকেই দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণ শুরু করে।