মুক্ত জম্মুর রাজনৈতিক নেতারা, স্থানীয় নির্বাচনের কারণে উঠল নিষেধাজ্ঞা

ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি (File Photo: Twitter/@ashoswai)

প্রায় দু’মাস গৃহবন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন জম্মুর রাজনৈতিক নেতারা। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের আটক করা হয়।

অবশেষে জম্মুর রাজনৈতিক নেতাদের বন্দিদশা ঘুচলেও কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখনও একই রয়েছে। সেখানকার রাজনৈতিক নেতারা হয় আটক, নয়তাে গৃহবন্দি রয়েছেন। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, জম্মুর নেতাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কারণ সামনেই ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন, যা পঞ্চায়েতরাজ ব্যবস্থার দ্বিতীয় পর্যায়। কদিন আগেই ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচনের ঘােষণা করেছে সরকার।

সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, জম্মু এখন শান্ত। সােমবার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নির্বাচনের কথা ঘােষণা করার পরই রাজনৈতিক নেতাদের উপরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানানাে হয়। জম্মুতে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে যাদের মুক্তি দেওয়া হল, সেই রাজনৈতিক নেতারা হলেন দেবেন্দর সিংহ রানা, রমন ভাল্লা, হর্ষদেব সিংহ, চৌধুরিলাল সিংহ, ভিকার রসুল, জাভেদ রানা, সুরজিৎ সিংহ স্নাথিয়া ও সাজ্জাদ আহমেদ কিচলু।


ন্যাশনাল কনফারেন্সের দেবেন্দর রানা এনডিটিভি’কে জানিয়েছেন, ‘হ্যা, আমাকে মুক্ত করা হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায় এক পুলিশ অধিকার কর্তৃক। আমার উপরে কোনও নিষেধাজ্ঞাই থাকছে না’। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর রাজ্যের প্রায় ৪০০ রাজনৈতিক নেতাকে হয় আটক করা হয়, নয়তাে গৃহবন্দি করা হয়। তাদের মধ্যে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লাও রয়েছেন।

গত ৫৭ দিন ধরে কাশ্মীর উপত্যকার যােগাযােগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। নেই ইন্টারনেট পরিষেবাও। গত আগস্টে মেহবুবা মুফতির কন্যা সানা লিটজিয়া জাভেদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানান, তিনি তার মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন, কেননা তিনি তার মায়ের সঙ্গে যােগাযােগ করতে পারছেন না।

তিনি অভিযােগ জানান, কাশ্মীরে মানুষকে পশুর মতাে খাঁচাবন্দি করে রাখা হয়েছে। সাধারণ মানবাধিকার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। পরিস্থিতি দেখে আন্তর্জাতিক মহল থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। আমেরিকা জানায়, তারা বন্দিদের রিপাের্ট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রয়েছে। আগামী ২৪ অক্টোবর ৩০০টি ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন। ওইদিনই গণনা হবে। ২৬ হাজার পঞ্চায়েত সদস্য ভােট দেবেন।