এসসিও বৈঠক উপলক্ষে সোমবার বেজিংয়ে পৌঁছেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সাক্ষাৎ করেছেন চিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝোং-এর সঙ্গে। এই জটিল বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শত্রুতা পেরিয়ে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
তিয়ানজিনে আন্তর্জাতিক জোট এসসিও-র বিদেশমন্ত্রীর সম্মেলনে যোগ দিতেই বেজিংয়ে জয়শঙ্কর| তিনি বলেছেন, ‘আজ আমরা যে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছি তা খুবই জটিল। প্রতিবেশী দেশ এবং প্রধান অর্থনীতি হিসেবে ভারত ও চিনের মধ্যে মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গির উন্মুক্ত বিনিময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এই সফরের সময় এই ধরণের আলোচনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’ সংঘাত এড়িয়ে যে কোনও সমস্যায় কূটনৈতিক সমাধানের কথাই জয়শঙ্কর বোঝাতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। পাঁচ বছর পর তিব্বত অঞ্চল কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করার কথা উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেছেন, এই পদক্ষেপ ভারতে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কৈলাস পর্বত এবং মানস সরোবর হ্রদের তীর্থযাত্রা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এবং পরবর্তীকালে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির কারণে ২০২০ সাল থেকে স্থগিত ছিল। এই যাত্রা পুনরায় শুরু করার কথা বলেছেন জয়শঙ্কর।
এর পাশাপাশি জয়শঙ্কর আরও বলেছেন যে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে কাজানে একটি শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকের পর থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস পেয়েছে এবং সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন,’ আমি নিশ্চিত যে এই সফরে আমার আলোচনা সেই ইতিবাচক ধারা বজায় রাখবে।’ গত বছর কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকের পরই পূর্ব লাদাখের ডেপসা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা শুরু হয়।
২০২০সালে লাদাখের গালওয়ানে ভারত-চিন সংঘাতের পর প্রথম চিনে গেলেন জয়শঙ্কর।
তবে গালওয়ান সংঘাত পেরিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা কিছুটা স্থিতিশীল পর্যায়ে হলেও দুই দেশের কূটনৈতিক সংঘাত এখনও জারি। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সহায়তা করেছিল চিন। আবার সার্ক নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ায় বিকল্প জোট তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে ইসলামাবাদ ও বেজিং। শুধু তাই নয়, দলাই লামা ইস্যুতেও টানাপোড়েন চলছে দুই দেশের। এই উত্তপ্ত সময়েই জয়শংকরের এই চিন সফর কূটনৈতিক দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়