টানা দ্বিতীয় দিন বিপাকে দেশের বৃহৎ বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগো। কঠোর নর্মে বাড়তি চাপ পড়ায় কেবিন কর্মীরা একাধিক শিফটে উপস্থিত হতে না পারায় সংস্থার উড়ান পরিষেবা কার্যত বিপর্যস্ত। আজ এক দিনে ২৫০-রও বেশি উড়ান বাতিল হওয়ায় দেশজুড়ে বিমানবন্দরগুলিতে যাত্রীদের দুর্ভোগ তীব্র হয়েছে। অনেকেই দাবি করেছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও সংস্থা থেকে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইন্ডিগো সূত্রে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে কার্যক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা মানদণ্ড কঠোর হওয়ায় কেবিন ক্রুদের কাজের চাপ আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। একের পর এক শিফট সামলাতে গিয়ে বহু কর্মীই অসুস্থ হয়ে পড়ায় ছুটি নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে দৈনন্দিন উড়ান পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী প্রস্তুত রাখতে পারছে না দেশের বৃহৎ বিমান সংস্থাটি।
এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিগো জানিয়েছে, সাময়িকভাবে উড়ান সংখ্যা কমানো ছাড়া উপায় নেই। যে সব যাত্রীদের উড়ান বাতিল হয়েছে, তাঁদের বিকল্প সময় দেওয়া হবে বা টাকা ফেরত দেওয়া হবে— এমন আশ্বাস দেওয়া হলেও বহু যাত্রী অভিযোগ তুলেছেন যে, সংস্থার তরফে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ দপ্তর সূত্রে খবর, তারা গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। সংস্থাকে জরুরি ভিত্তিতে কর্মী-সঙ্কট মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইন, ঠাসাঠাসি ভিড়, শিশু ও বৃদ্ধদের সমস্যায় পড়া— সব মিলিয়ে আজকের দিনটি যাত্রীদের কাছে অত্যন্ত ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠেছে। বহু যাত্রী বলেছেন, হঠাৎ এতগুলি উড়ান বাতিল হওয়া মেনে নেওয়া যায় না। তাঁদের দাবি, আগেভাগে খবর দিলে হয়তো এই দুর্দশা এড়ানো যেত।
ইন্ডিগো কবে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে সংস্থা জানাচ্ছে, ‘আশু সমাধান’-এর চেষ্টা চলছে এবং যাত্রীদের অসুবিধার জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করছে। ভবিষ্যতে একই পরিস্থিতি যাতে না ফেরে, তার জন্য কর্মীসংখ্যা ও শিফট সংক্রান্ত পরিকল্পনায় বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দিয়েছে ইন্ডিগো।